বাংলাপ্রেস ডেস্ক: আগামী ২ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোয় সহকারী শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ পরীক্ষায় জালিয়াতি ঠেকাতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই) । পরীক্ষা শুরুর দেড় ঘণ্টা আগে কেন্দ্রে প্রবেশের নির্দেশনা দিয়েছে ডিপিই। সেই সঙ্গে বেশকিছু জরুরি নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, সহকারী শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষা ২ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত আবেদনকারীদের নিজ নিজ জেলায় অনুষ্ঠিত হবে। এদিন পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে।
ডিপিইর কর্মকর্তারা বলছেন, পরীক্ষায় ডিভাইস ব্যবহারের মাধ্যমে জালিয়াতি, প্রক্সিসহ নানা অনিয়ম ঠেকাতে এবারও আগেভাগেই প্রার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। প্রার্থীরা কেন্দ্রে প্রবেশের পর পরীক্ষকরা যেন তাদের সময় নিয়ে পর্যবেক্ষণ করতে পারেন, সেজন্যই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এর আগে গত ৮ ডিসেম্বর প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত তিন বিভাগের ১৮ জেলার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায়ও এক ঘণ্টা আগে কেন্দ্রে প্রবেশের নির্দেশনা ছিল। তবে এবার তা আরও ৩০ মিনিট এগিয়ে আনা হয়েছে৷ অর্থাৎ, সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী, পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রে কোনো বই, উত্তরপত্র, নোট বা অন্য কোনো কাগজপত্র ছাড়াও ক্যালকুলেটর, মোবাইল ফোন, ভ্যানিটি ব্যাগ, পার্স, হাতঘড়ি বা ঘড়িজাতীয় বস্তু, ইলেকট্রনিক হাতঘড়ি বা যেকোনো ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস, কমিউনিকেটিভ ডিভাইস, জাতীয় পরিচয়পত্র (স্মার্ট কার্ড) ব্যতীত কোনোপ্রকার ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড অথবা অন্য কোনো কার্ড বা এ জাতীয় বস্তু সঙ্গে নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না। যদি কোনো পরীক্ষার্থী উল্লিখিত দ্রব্যাদি সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করেন, তবে তাকে তাৎক্ষণিক বহিষ্কারসহ প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আগামী ২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত এই ধাপের পরীক্ষায় ময়মনসিংহ, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের জেলাগুলোর প্রার্থীরা অংশ নেবেন। এ ধাপে মোট ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৪৩৮ জন চাকরিপ্রত্যাশী আবেদন করেছেন। আর মোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৬০৩টি এবং কক্ষ সংখ্যা ৯ হাজার ৩৫৭টি। তিন বিভাগের ২২ জেলা শহরে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
বিপি/টিআই