বাংলাপ্রেস ডেস্ক: পাকিস্তানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। চলমান এই আন্দোলনে সরকারের বিরুদ্ধে ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষার্থীদের দাবি, তাদের আন্দোলনের কার্যক্রমকে বাধা সৃষ্টি করতে এ ধরনের প্রচেষ্টা করা হচ্ছে। খবর বিবিসির।
তবে ইন্টারনেটের এমন ধীরগতির জন্য সরকারের কোনো ভূমিকা নেই বলে দাবি করেছেন দেশটির তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ফাতিমা খাজা।
তিনি জানিয়েছেন, ভিপিএনের অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণেই ইন্টারনেটের গতি কমেছে। গত ১৮ আগস্ট এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এই বক্তব্য দেন।
ফাতিমা বলেন, একটি ‘বিশাল জনগোষ্ঠী’ ভিপিএন ব্যবহার করছে, যার ফলে নেটওয়ার্কের ওপর চাপ পড়ে ইন্টারনেট স্লো হয়ে গেছে।’
ইন্টারনেট স্লো হয়ে যাওয়ার জন্য সরকারের দায় আছে কী না, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ ধরনের দাবি ‘একেবারেই মিথ্যা।’
তবে ফাতিমা স্বীকার করেন, সাইবার নিরাপত্তার উন্নয়নে সরকার সিস্টেম আপগ্রেড করছে।
তিনি যোগ করেন, আমাদের দেশে সাইবার নিরাপত্তার ওপর যে পরিমাণ হামলা হয়, তাতে এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়ার অধিকার রয়েছে সরকারের।
তবে মানবাধিকারকর্মীরা প্রতিমন্ত্রীর এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন। তারা বলেন, তিনি ‘রাজনীতিবিদের মতো সমালোচনা এড়িয়ে গেছেন।’
মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, রাষ্ট্র চীনের কায়দায় ইন্টারনেট ফায়ারওয়াল চালু করছে, যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের ওপর আরও ভালো করে নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারি প্রতিষ্ঠা করা যাবে।
স্থানীয় ডিজিটাল নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান বাইটস ফর অলের পরিচালক শাহজাদ আহমাদ বিবিসিকে জানান, তার প্রতিষ্ঠানের কাছে ফায়ারওয়ালের অস্তিত্ব প্রমাণের জন্য যথেষ্ঠ প্রমাণ আছে।
বিবিসি বলছে, পাকিস্তান ও এশিয়ার অন্যান্য দেশে ভিন্নমতাবলম্বীদের কণ্ঠরোধে সরকারের জনপ্রিয় হাতিয়ার হচ্ছে ইন্টারনেট বন্ধ করা বা এর ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা। গত বছর দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পর পাকিস্তানজুড়ে বিক্ষোভ দেখা দেয়। সে সময় থেকেই সরকার সড়কের ও ডিজিটাল বিক্ষোভ দমনে একাধিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করেছে এবং ক্ষেত্রবিশেষে, কিছু কিছু জায়গায় ইন্টারনেটের গতি কমিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
বিপি/টিআই