নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী শুক্রবার বিশ্ববাজারে আসছে আইফোন ১৬ সিরিজ। ১৩ সেপ্টম্বর (শুক্রবার) ভোর ৫টা থেকে অগ্রিম অর্ডার নেওয়া শুরু হবে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক সময় সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর একটায় (বাংলাদেশ সময় সোমবার রাত ১১টা) অ্যাপল ইভেন্ট ‘ইটস গ্লো টাইম’-এ প্রতিষ্ঠানটির সিইও টিম কুক ও তার সতীর্থরা এ ঘোষণা দেন। এবারে আইফোন ১৬ সিরিজের সাথে থাকছে নতুন অ্যাপল ওয়াচ সিরিজ ১০ এবং নতুন এয়ারপডস।
আইফোন ১৬ সিরিজে রয়েছে আইফোন ১৬, আইফোন ১৬ প্লাস, আইফোন ১৬ প্রো এবং আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্স। নতুন আইফোনের প্রি-অর্ডার শুরু হবে ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে এবং হাতে পাওয়া যাবে ২০ সেপ্টেম্বর থেকে। আইফোন ১৬ এর দাম ৭৯৯ ডলার, ১৬ প্লাসের দাম ৮৯৯ ডলার, ১৬ প্রোর দাম ৯৯৯ ডলার এবং ১৬ প্রো ম্যাক্সের দাম ১১৯৯ ডলার দিয়ে শুরু।
ব্ল্যাক, হোয়াইট ও ন্যাচারাল টাইটেনিয়াম ছাড়াও এ বছর আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্সে নতুন কালার ডিজার্ট টাইটেনিয়াম সংযোজন করা হয়েছে। এ ছাড়া আইফোন ১৬-তে রয়েছে পাঁচটি কালার। এগুলো হচ্ছে আল্ট্রামেরিন, টিল, পিংক, হোয়াইট ও ব্ল্যাক।
অ্যাপল ইভেন্ট শুরু হয় একটি বিজ্ঞাপনচিত্রের মাধ্যমে। সেখানে অ্যাপলের বিভিন্ন যন্ত্র ও সেবা কীভাবে মানুষের প্রতিদিনের জীবনকে আরও সহজ ও কর্মক্ষম করে তুলছে, তা দেখানো হয়। এর পরই পর্দায় রংধনুর বিশেষ নকশার পটভূমিতে উদ্ভাসিত হন অ্যাপল ইনকরপোরেটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা টিম কুক। সবাইকে স্বাগত জানিয়ে আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন এই আয়োজনের। তিনি জানান, আজকের আয়োজনে অ্যাপল ওয়াচ, এয়ারপডস ও আইফোন নিয়ে বিভিন্ন ঘোষণা আসবে।
টিম কুকের পর পর্দায় দৃশ্যমান হন অ্যাপলের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) জেফ উইলিয়ামস। অ্যাপল ওয়াচের প্রসঙ্গের অবতারণা ঘটান কুক। কুক অ্যাপল ওয়াচ সিরিজ ১০-এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। তারই প্রসঙ্গ ধরে সিরিজ ১০ স্মার্ট ঘড়ির নানা দিক তুলে ধরেন জেফ উইলিয়ামস। সিরিজ ১০-এর পর্দা এ-যাবৎকালের অ্যাপল ওয়াচের মধ্যে সব থেকে বড়। মাপে ৩০ শতাংশ বড় এ পর্দায় আরও বেশি সংখ্যক ই–মেইল বা মেসেজ দেখতে পারবেন ব্যবহারকারীরা। ওয়াইড অ্যাঙ্গেল ও এলইডি ডিসপ্লেসহ এ ঘড়ির পর্দা ৪০ শতাংশ বেশি উজ্জ্বল। সংক্ষেপে ওয়াচ সিরিজ ১০-এর পর্দা আকারে বড় ও উজ্জ্বল এবং গঠনে পাতলা।
নকশায় পরিবর্তন আনা হয়েছে আইফোন ১৬ সিরিজে। আইফোন ১৬ সিরিজের সব ফোনেই রয়েছে অ্যাপলের নতুন এ-১৮ চিপসেটের প্রসেসর। ৩ ন্যানোমিটারের এই চিপসেটটি তৈরি করেছে টিএসএমসি। এই চিপসেট ব্যবহারের ফলে এআই, মেশিন লার্নিংসহ বিভিন্ন উন্নত সুবিধা স্বচ্ছন্দে ব্যবহার করা যাবে। এ ছাড়া অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে রয়েছে আইওএস ১৮। এ সিরিজের প্রো মডেলে ২ টেরাবাইট স্টোরেজ সুবিধা রয়েছে। পাশাপাশি সিরিজের সব ফোনেই ৮ গিগাবাইটের র্যাম যুক্ত করা হয়েছে।
পূর্ববর্তী সংস্করণের তুলনায় আইফোন ১৬ সিরিজের ফোনগুলোতে ব্যাটারির আকার বেশ বড়। আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্সে রয়েছে ৪৮ মেগাপিক্সেলের আলট্রা লেন্সের ক্যামেরা। পেরিস্কোপ টেলিফটো লেন্স থাকায় ৫ গুণ পর্যন্ত অপটিক্যাল জুম-সুবিধা পাওয়া যাবে আইফোনে।
বিপি।এসএম