বাংলাপ্রেস ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনাকে আদালতের বেঁধে দেওয়া সময় আগামী ১ মাসের মধ্যে দেশে ফেরাতে সরকার ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। আজ বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ট্রাইব্যুনাল থেকে যে ৪৫ জনের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে, তারা কোথায় আছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানার চেষ্টা করছে। তাদের ফেরাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘ছাত্র আন্দোলনে নির্বিচার হত্যাকাণ্ড চালানোর নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মেগা প্রকল্পে মেগা দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। আদালত একমাস সময় দিয়েছেন (শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার জন্য)। এ সময়ের মধ্যে শেখ হাসিনাকে ফেরত আনার জন্য যা যা প্রয়োজন আমরা অবশ্যই সেটি করব।’
শেখ হাসিনা ভারতেই আছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আনঅফিশিয়ালি জানতে পেরেছি তিনি দিল্লিতেই অবস্থান করছেন।’
এ সময় লেবাননে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘যুদ্ধাক্রান্ত লেবানন থেকে বাংলাদেশি প্রবাসীদের দেশের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। ১ হাজার ৮০০ জনের মতো দেশে ফিরে আসতে নিবন্ধন করেছেন।’
এর আগে আজ সকালে জুলাই-আগস্ট গণহত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আগামী ১৮ নভেম্বরের মধ্যে তাকে ট্রাইবুনালে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ দুপুরে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের করা আবেদন গ্রহণ করে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন। সদস্যরা হলেন বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মহিতুল হক এনাম চৌধুরী। পরে ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করা হয়।
জানা গেছে, এ পর্যন্ত ট্রাইব্যুনালে জমা পড়েছে ৬০টির মতো অভিযোগ। এসবের ৫৪টিতেই মূল আসামি শেখ হাসিনা।
এর আগে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে, চুলচেরা বিশ্লেষণের মাধ্যমে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান আইন উপদেষ্টা। এদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের নেতা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গুম, হত্যা, গণহত্যার অভিযোগগুলো আনা হয়েছে।
বিপি/কেজে