বাংলাপ্রেস ডেস্ক: বলিউডের উজ্জ্বল নক্ষত্র সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর আইনি জটিলতায় পড়েন অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী। মাদককাণ্ডে নাম উঠে আসার পর এক মাস কারাভোগ করেন তিনি। এমনকি পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও বিপাকে পড়েন। ফলে স্বাভাবিকজীবনে ফিরে আসা অনেকটা কষ্টসাধ্য হয়ে যায় তার।
অবশেষে এবার স্বস্তির খবর পেলেন অভিনেত্রী রিয়া। দীর্ঘ সময় পর হলেও এবার আইনি জটিলতা কাটিয়ে উঠতে পারলেন। এতদিন সুশান্তের মৃত্যু মামলায় রিয়া ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে সিবিআই লুক-আউট সার্কুলার জারি করা ছিল। সেই রায় বাতিল করে হাইকোর্ট। পরবর্তীতে রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল মহরাষ্ট্র সরকার। শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্ট বম্বে হাইকোর্টের সেই রায়ই বহাল রাখল।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মহরাষ্ট্র সরকারকে তিরস্কার করে সুপ্রিম কোর্ট। শুধুই হাই-প্রোফাইল ব্যাকগ্রাউন্ড হওয়ার কারণে অভিনেত্রী রিয়া ও তার পরিবারের পক্ষে দেয়া বম্বে হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করা হলো―এমন প্রশ্ন রাখে ভারতের শীর্ষ আদালত।
২০২০ সালে সুশান্তের মৃত্যুর পর পাটনায় একটি মামলা করে অভিনেতার পরিবার। অভিযোগে তার পরিবার মৃত্যুর যথাযথ তদন্তের দাবি জানায়। এরপর তদন্তের দায়ভার সিবিআই’কে দেয়া হয়। ওই বছরই সিবিআই সুশান্তের বান্ধবী রিয়া, অভিনেত্রীর বাবা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তী, মা সন্ধ্যা ও ভাই সৌভিকের নামে লুক-আইট সার্কুলার জারি করে।
এই সার্কুলার জারির পেছনে পর্যাপ্ত কোনো কারণ নেই জানিয়ে তা বতিল করে বম্বে হাইকোর্ট। বিচারপতিদের বেঞ্চ জানায়, রিয়া ও তার পরিবারের সমাজে সুনাম রয়েছে এবং তারা সবাই তদন্তে যথেষ্ট সহযোগিতা করেছেন।
একইবছর সুশান্ত মৃত্যু মামলায় জড়িত অপর একটি আর্থিক প্রতারণার মামলায় রিয়া ও তার পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডিআই। সুশান্তের পরিবারের পক্ষ থেকে রিয়ার বিরুদ্ধে ১৫ কোটি অর্থ অভিনেতার অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে নেয়ার অভিযোগ আনা হয়। এমনকি তাদের ছেলে সুশান্তকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে বলেও অভিযোগ করা হয়। এ তদন্তে ইডি প্রতিনিধি দল অভিনেত্রীর আয়, বিনিয়োগ ও কর্মক্ষেত্রের লেনদেনের বিষয় দীর্ঘ সময় নিয়ে যাচাই করে।
এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিআর গাভাই ও কেভি বিশ্বনাথন সিবিআই-এর আইনজীবীকে বলেন, সতর্ক করে দিচ্ছি। অভিযুক্ত একজন হাই প্রোফাইল ব্যক্তি হওয়ায় তার বিরুদ্ধে অযথা মামলা হচ্ছে। এর পরিণাম কিন্তু ভালো হবে না।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১৪ জুন বান্দ্রা এলাকার একটি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে বলিউড তারকা সুশান্তের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। দুর্ঘটনাজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে জানিয়ে মামলা নিয়ে তদন্ত শুরু করে মুম্বাই পুলিশ। পরবর্তীতে সুশান্তের বাবা বিহার পুলিশে অভিযোগ করেন। তার অভিযোগ ছিল, রিয়া ও তার পরিবারের সদস্যরা আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছিল সুশান্তকে।
বিপি/টিআই