নোমান সাবিত: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যুদ্ধক্ষেত্র নামে পরিচিত দোদুল্যমান সাতটি অঙ্গরাজ্যের সব কটিতেই জয় পেলেন রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। সাতটির মধ্যে ছয়টিতে আগেই জিতে গিয়েছিলেন। অবশিষ্ট অ্যারিজোনার আসনটিতেও বিজয়ী হলেন ট্রাম্প। শনিবার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্যটির ফল প্রকাশের মধ্য দিয়ে ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর্ব শেষ হলো।
এ অঙ্গরাজ্যে রয়েছে ১১টি ইলেক্টোরাল ভোট। এখানকার নির্বাচনী ফলাফলই ঘোষণা বাকি ছিল। এটিতে জেতায় ট্রাম্পের ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের সংখ্যা দাঁড়াল ৩১২ যা প্রেসিডেন্ট হতে প্রয়োজনীয় ২৭০ ভোটের থেকে অনেক বেশি। ট্রাম্পের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিসের ঝুলিতে গেছে ২২৬ ইলেকটোরাল কলেজ ভোট।
বার্তা সংস্থা এপির তথ্য অনুযায়ী, ট্রাম্প এখন পর্যন্ত সাত কোটি ৪৬ লাখ ভোট বা মোট ভোটের ৫০ দশমিক ৫ শতাংশ পেয়েছেন। আর কমলা হ্যারিসে পেয়েছেন সাত কোটি নয় লাখ ভোট। প্রদত্ত ভোটের ৪৮ শতাংশ পেয়েছেন তিনি।
মার্কিন রাজনীতিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বরাবরই নির্ণায়কের ভূমিকা পালন করে এই সাত অঙ্গরাজ্য। সেগুলো হলো- পেনসিলভেনিয়া, উইসকনসিন, মিশিগান, জর্জিয়া, নেভাদা, অ্যারিজোনা ও নর্থ করোলিনা। বলা হয়, এই ৭ প্রদেশ যার দিকে ঝোঁকে আমেরিকার মসনদ যায় তার দখলে। এই ৭ প্রদেশই এবার রিপাবলিকান প্রার্থীকে দুহাত উজাড় করে আশীর্বাদ দিয়েছে। ৬টিতে আগেই জেতা হয়েছিল। এবার সপ্তমটিও জিতলেন ট্রাম্প। নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের আগেই অবশ্য রিপাবলিকানরা দাবি করেছিলেন, দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলো পুরোপুরি তাঁদের দখলেই থাকবে। সেটাই সত্যি হলো। একটিতেও জিততে পারলেন না ডেমোক্র্যাটরা।
২০২০ সালে জো বাইডেন অল্প ব্যবধানে জিতেছিলেন অ্যারিজোনায়। ১৯৯৬ সালে বিল ক্লিন্টনের পর কোনও ডেমোক্র্যাট সেই প্রথম জিতেছিলেন এখানে। কিন্তু এবার ট্রাম্পের জয়ে এই প্রদেশ ফের রিপাবলিকানদের দখলে চলে গেল। এখানে প্রচারে এসে ট্রাম্প বারবার সীমান্ত সুরক্ষা, অভিবাসন ও অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের কারণে ঘটে চলা অপরাধের প্রসঙ্গ তুলেছিলেন। ২০২৩ সালে রেকর্ড সংখ্যক অনুপ্রবেশকারীর প্রবেশ ঘিরে অ্যারিজোনার বহু মানুষই বিরক্ত হয়ে পড়েছিলেন। মনে করা হচ্ছে, এই ইস্যু নিয়ে সরব হয়েই ‘মাস্টারস্ট্রোক’ খেলে দিয়েছেন ট্রাম্প।
অ্যারিজোনায়র জেতার মাধ্যমে রিপাবলিকানরা তাদের হারানো এ রাজ্য ফিরে পেল। কেননা ২০২০ সালে এ রাজ্য জিতেছিলেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে ট্রাম্পের জন্য এটি এ রাজ্যে দ্বিতীয়বারের মতো বিজয়। তিনি ২০১৬ সালে এ রাজ্যে জিতেছিলেন।
বিপি।এসএম