বাংলাপ্রেস ডেস্ক: পরিকল্পিতভাবে গত ১২ বছর দেশপ্রেমিক সশস্ত্র বাহিনী থেকে বেগম খালেদা জিয়াকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সেনাকুঞ্জে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
এ দিন সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ঢাকা সেনানিবাসস্থ সেনাকুঞ্জে যান খালেদা জিয়া। সর্বশেষ ২০১২ সালে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে সেনাকুঞ্জে যোগ দিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।
ফখরুল বলেন, বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশ গণতন্ত্রের জন্য, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের জন্য সবচেয়ে বড় সময়টা দিয়ে দিয়েছেন। গত ১২ বছর তাকে দেশপ্রেমিক সশস্ত্র বাহিনী থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে। আমি আজকে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের বিশেষ করে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান এবং বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁনকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। বিশেষ করে আমাদের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে, যে তিনি আজকে ম্যাডামকে (খালেদা জিয়া) যে সম্মান দেখিয়েছেন, এতে আমরা যেমন কৃতজ্ঞ হয়েছি, একই সঙ্গে গোটা জাতি আজকে আনন্দিত হয়েছে।
বিকেলে গুলশানের বাসা থেকে রওনা করে ৪টার দিকে অনুষ্ঠানে পৌঁছান তিনি। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে পৌঁছালে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান এবং বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন তাকে অভ্যর্থনা জানান।
কারামুক্ত হওয়ার পর এই প্রথম কোনো অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ঘরের বাইরে বের হলেন তিনি। সেনাকুঞ্জে পৌঁছার পর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পাশের চেয়ারে বসানো হয় বিএনপি চেয়ারপারসনকে। সেখানে প্রধান উপদেষ্টা খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশলাদি বিনিময় করেন। এ সময় দুজনকে হাস্যোজ্জ্বল ভঙ্গিতে দেখা গেছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার ভাষণে বলেন, খালেদা জিয়াকে আনতে পেরে আমরা গর্বিত।
বিপি/কেজে