বাংলাপ্রেস ডেস্ক: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আজকে অনেক ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে, চক্রান্ত শুরু হয়েছে। সেই ষড়যন্ত্র বা চক্রান্তের কাছে আমরা মাথানত করব না।’
আজ শনিবার সন্ধ্যায় ঠাকুরগাঁও জেলা ছাত্রদলের আয়োজনে শহরের সাধারণ পাঠাগার চত্বরে আয়োজিত ছাত্র সমাবেশে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যারা যুদ্ধ করেছিল শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ঘোষণার মধ্য দিয়ে, তারা সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক একটা দেশ দেখতে চেয়েছিল। তারা বৈষম্য বিশ্বাস করেনি, তারা বৈষম্যবিহীন একটা রাষ্ট্র চেয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘আজকে সবখানে বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে, দুর্নীতি হয়েছে। সবখানে দুর্নীতিতে ভরে গেছে। সেই বৈষম্য ও দুর্নীতি দূর করে জনগণের একটা সরকার, পার্লামেন্ট করতে পারি; জনগণ যাতে ভোট দিতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে পারি। সেজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা দুর্নীতি মুক্ত করতে চাইব, গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে চাইব, আমরা এখানে মানুষের কথা বলার অধিকারকে রক্ষা করতে চাইব, আমরা এখানে সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে অক্ষুণ্ন করতে চাইব, এই বিষয়গুলোকে সামনে রেখে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’
উপস্থিত ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে নতুন একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তোমরা জান, গত ১৫ বছরে আমরা আন্দোলন করেছি শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে। এই ফ্যাসিস্ট সরকার শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছিল, পাশাপাশি দেশের রাজনীতি ও গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছিল, অসংখ্য ছাত্রকে হত্যা করেছিল। তোমরা জান, কিছু দিন আগে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সরকার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্রছাত্রীকে হত্যা করেছিল।’
বিএনপির শীর্ষ এই নেতা বলেন, ‘এই আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে, তখনই তারা জোড় করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায় এবং তারা দেশের সবকিছুকে ধ্বংস করে দেয়। আজকে তোমাদের আন্দোলন, একি সাথে জনগণের আন্দোলনে শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে। তখন আমাদের সামনে নতুন একটি সম্ভাবনার দ্বার সামনে এসেছে।’
তিনি বলেন, ‘আজকে বিশেষ করে আমাদের যেটা প্রয়োজন, সেটা হলো ঐক্য, জনগণের ঐক্য, তার সাথে ছাত্রদের ঐক্য।’
ঠাকুরগাঁও জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. কায়েসের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমীন, সহসভাপতি নূর করিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, সদর থানা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদ, পৌর বিএনপির সভাপতি শরিফুল ইসলাম শরিফ প্রমুখ।
বিপি/কেজে