বাংলাপ্রেস ডেস্ক: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র প্রণয়নে যেন সংশ্লিষ্ট সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, তাদের পরামর্শ নেওয়া হয়। আমি প্রধান উপদেষ্টাসহ সব উপদেষ্টাকে অনুরোধ করেছি, তারা যেন সেই বিষয়ে নজর রাখেন এবং সে হিসেবে পদক্ষেপ নেন। যাতে জাতীয় ঐক্যের মধ্যে কোনও ফাঁটল সৃষ্টি না হয়, আমাদের মধ্যে যেন বিভ্রান্তি সৃষ্টি না হয়।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠক শেষে বেরিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের কাজ হলো, ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যকে ধরে রাখা। জুলাই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী যে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি হয়েছে, সেই ঐক্যকে গণঐক্যকে যেন রূপান্তরিত করতে পারি। এই গণঐক্যকে যেন রাজনৈতিক সংস্কৃতি চর্চার মধ্যে নিয়ে আসতে পারি। এই ঐক্য ধরে রেখে আমরা যেন জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি– এটাই আমাদের এখনকার মতো সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।’
তিনি বলেন, ‘সব রাজনৈতিক দল, যারা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিল, তাদের নিয়ে আমরা একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক বক্তব্য দিতে চাই। যেকোনও রকম অনৈক্যের বীজ যেন কেউ আমাদের ভেতর বপন করতে না পারে, আমাদের সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।’
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক নিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আজ প্রধান উপদেষ্টা আমাদের আহ্বান করেছিলেন। আমরা এসেছি, রাষ্ট্র পরিচালনা ও বিভিন্ন বিষয়ে আমরা আমাদের পরামর্শ, মতামত দিয়েছি।’
ঘোষণাপত্র নিয়ে কোনও পরামর্শ ছিল কিনা প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সব রাজনৈতিক দলের নেতারা তাদের পরামর্শ দিয়েছেন। আমরা প্রশ্ন করেছিলাম আসলেই সাড়ে পাঁচ মাস পরে ঘোষণাপত্রের কোনও প্রয়োজন ছিল কিনা। যদি সেটা থেকে থাকে তাহলে তার রাজনৈতিক গুরুত্ব, ঐতিহাসিক গুরুত্ব এবং আইনি গুরুত্ব কী সেটা নির্ধারণ করতে হবে। এই ঘোষণাপত্রকে কেন্দ্র করে আমাদের মধ্যে যে ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য গড়ে উঠেছে সেখানে যেন কোনও ফাঁটল সৃষ্টি না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। যদি কোনও রাজনৈতিক দলিল ঐতিহাসিক দলিলে পরিণত হয়, তাহলে সেই দলিলটাকে অবশ্যই আমরা সম্মান করি।’
বিপি/কেজে