ইমা এলিস: যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে নথিপত্রহীন চার বাংলাদেশি অভিবাসী গ্রেপ্তারের খবরটি সঠিক নয়। গত ২২ জানুয়ারি ঢাকার বেশ কয়েকটি দৈনিক সংবাদপত্রে এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ প্রকাশের নিউ ইয়র্ক প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায় গত চার দিনেও নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিন কিংবা অন্য স্থান থেকে কোন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেনি ফেডারেল আইন প্রয়োগকারী এবং ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) এজেন্টরা।
প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ গ্রহণের পর থেকে আতঙ্কে আছেন নথিপত্রহীন অবৈধ অভিবাসীরা। নথিপত্রহীন বাংলাদেশিরাও একইভাবে দুশ্চিন্তায়। কারণ ২০ জানুয়ারি ট্রাম্প শপথ গ্রহণের পর থেকে নথিপত্রহীন অভিবাসীদের ধারপাকড়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যে অভিযান শুরু হয়েছে। নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিন বরোর ফুলটন এলাকা থেকে চার বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস ইনফোর্সমেন্ট (আইস)।
এ খবর প্রকাশের পর অনেক প্রবাসী সংবাদটিকে ভুয়া বলে দাবি করেছেন। তারা স্থানীয় ফুলটন এলাকাবাসীদের সঙ্গে কথাও বলেছেন কিন্তু কেউ কোন সঠিক তথ্য দিতে পারেননি। এ ধরণের গ্রেপ্তারের খবর সবার আগে প্রকাশিত হয় নিউ ইয়র্ক পোষ্ট, ডেইলি নিউজসহ নিউ ইয়র্কের মিভিন্ন মিডিয়ায়। কিন্তু তিনদিন পার হলেও এখন পর্যন্ত নিউ ইয়র্কের কোন পত্রিকা এ ধরণের কোন সংবাদ প্রকাশ করেনি।
নিউ ইয়র্কের দুর্ঘটনার আইনজীবীরাও এখন অভিবাসন বিষয়ে আইনি পরামর্শ দিতে ফেসবুক ও ইউটিউবে লাইভ শো করে বিপদগ্রস্ত অসহায় বাংলাদেশিদের সর্বশান্ত করার পাঁয়তারা করছেন বলে বিভিন্ন সুত্রে খবর পাওয়া গেছেন।
নিউ ইয়র্ক প্রবাসী বাংলাদেশি এক্টিভিস্ট নাসির খান পল তার ফেসবুক পোষ্টে লিখেন-একটা নিউজ বাজারে ঘুরাফেরা করছে যে ১০০-১৫০ বাঙালি ব্রুকলিন থেকে এ এরেষ্ট হয়েছে। এইটা একেবারে ভূয়া।
কারন এইমাএ নিউজ সমস্ত আমেরিকায় শিকাগোসহ ৩০০ জন এরেষ্ট হয়েছে। কেমন করে শুধু বাঙালি এতজন এরেষ্ট হয়? কাগজ বিক্রি হবার ফন্দি। আমি লক্ষ্য করছি বাঙালি বেশ কয়জন ল-ইয়ার অসহায় অবৈধ্যদের ভয় দেখিয়ে কিছু টাকা কামানোর জন্য ধান্ধা শুরু করেছে। বলছে সবকে ধরে পাঠিয়ে দেবে জলদি করে আমাদের কাছে আসেন, কাগজ ঠিক করে আবেদন করেন। যারা অসহায় মানুষের দুর্বলতা নিয়ে টাকা কামানোর ধান্ধা করে, তাদের কি বলবেন? আপনারা যারা অবৈধ্য রয়েছেন, ভয় না পেয়ে
কোনমতে রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেন। আপনি কোন অপরাধ না করলে সহজে যেতে হবে না।
শুধু তাই নয় যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আইন প্রয়োগকারী এবং ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) এজেন্টরা সাত অঙ্গরাজ্য থেকে তিন দিনে প্রায় ৫৩৮ অনথিভুক্ত অভিবাসীকে গ্রেপ্তার ও ৩৭৩ কে আটক করেছে। যাদের বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ রয়েছে বিশেষত নিউ ইয়র্ক এবং নিউ জার্সি, বোস্টন, ডেনভার, ফিলাডেলফিয়া, আটলান্টা, সিয়াটল, মিয়ামি এবং ওয়াশিংটন, ডিসির মতো স্যাংচুয়ারি শহরগুলোতে। এদের তালিকায়ও নেই কোন বাংলাদেশি।
নিউইয়র্কে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ছিল এল সালভাদরের একজন এমএস-১৩ গ্যাং সদস্য। তিনি
জ্যামাইকার একজন নাগরিক। যিনি নাবালকের যৌন শোষণের অভিযোগে অভিযুক্ত। হন্ডুরাসের একজন নাগরিক যিনি মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর দায়ে অভিযুক্ত।
বিপি।এসএম