দেবীগঞ্জ (পঞ্চগড়), প্রতিনিধি: ভারত থেকে বয়ে যাওয়া করতোয়া নদীর চর এখন কৃষকের ফসলের মাঠ।দেবীগঞ্জ উপজেলা একটি বড় নদী হল করতোয়া নদী। এই নদীতে এখন আর আগের মত পানি থাকে না।শুক্ন মৌসুমে এই নদীর চরে এখন নানান ধরনের ফসল চাষ হয়।
বিশেষ করে পেয়াজ ও পেয়াজের চারা বিক্রি করে কৃষক। নদীতে পানি কমে যাওয়ার নদীর দু পাশে বালুর চর পরে থাকে। সেই বালুর চর মাহিন্দ্র দিয়ে সমান করে পেয়াজ, আলু, গম,সরিষা, ভূট্টা চাষ করছে কৃষক। আবার নদীর পাশে অল্প পানিতে বালু সমান করে চাষ করছে ধান। নদীতে পানি না থাকায় ডিজেল চালিত স্যালো মেশিন দিয়ে সেচ দিচ্ছে কৃষক। পেয়াজ এর খেতে প্রায় প্রতিদিন পানি দিতে হয়। জহির নামের এক কৃষক বলেন,এই নদীর চরে চাষ করতে অনেক শ্রম দিতে হয়। সকাল বিকেল পানির সেচ দিতে হয়। খরচ অনেক হয় তার পরেও আলহামদুলিল্লাহ মোটামুটি লাভ হয় তাই প্রতি বছর নদীর
চরে চাষবাদ করি ।এ বছর প্রায় ৪ কেজি পেয়াজের বীজ রোপণ করছি পুলি বিক্রি করছি প্রায় দেড় লাখ টাকার মত।দাম কমে যাওয়াতে বেশী লাভ হবে না এবছর।
বেলাল নামের এক কৃষক বলেন,প্রতি বছর নদীতে ধান চাষ করে আমাদের খাওয়ার জন্য আর ধান কিনতে হয় না।প্রতি বছর ২০ থেকে ৩০ মণ ধান চাষ করি। করতোয়া নদীর বুকে জেগে উঠা ধু-ধু বালুর চরে কৃষকের এই সেচ নির্ভর চাষাবাদে ফসল উৎপাদন খরচ বেড়েছে কয়েক গুণ। দেবীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার নাঈম মোর্শেদ বলেন, গত বছর আবাদ হয়েছিল ১০৩৯ হেক্টর। এই অর্থবছরে পেয়াজ আবাদ হয়েছে ১০৫০ হেক্টর।।
যা গত বছরের তুলনায় ১১ হেক্টর বেশি।।চলতি অর্থবছরে উপজেলায় ১০০ জন কৃষকের মাঝে প্রনোদনার আওতায় পেয়াজ দেয়া হয়।মাঠ পর্যায়ে পেয়াজ চাষি দের বিভিন্ন রোগ ও পোকামাকড় দমন সর্ম্পকে পরামর্শ চলমান রয়েছে। আবহাওয়া অনূকুলে থাকায় ফলন ভাল হবে বলে আশা করা যায়।
[বাংলা প্রেস বিশ্বব্যাপী মুক্তচিন্তার একটি সংবাদমাধ্যম। স্বাধীনচেতা ব্যক্তিদের জন্য নিরপেক্ষ খবর, বিশ্লেষণ এবং মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজ আগের চেয়ে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]
বিপি/কেজে