বাংলাপ্রেস ডেস্ক: পতিত শেখ হাসিনা সরকারের শাসনামলে নিবন্ধিত ৯৬টি নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন বাতিলের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কমিটি। নতুন করে নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন দেওয়া হবে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনের এক সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) নির্বাচন কমিশন ভবনের সম্মেলন কক্ষে সীমানা পুননির্ধারণ, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, জাতীয় এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন প্রস্তুতি, ভোটকেন্দ্র স্থাপন, ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের প্যানেল প্রস্তুত ও তদারকি এবং উপকারভোগী পর্যায়ে আলোচনাবিষয়ক কমিটির এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার এ সভার নেতৃত্ব দেন।
ইতোমধ্যে কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভোটার সংখ্যা, ভৌগলিক অবস্থান ও প্রশাসনিক সুবিধার কথা বিবেচনা করে সীমানা নির্ধারণ করা হবে। ইতোমধ্যে ৬৪ জেলা থেকে চারশ’র মতো আবেদন করেছে। এসব আবেদনে অনেকেই ২০০৮ সালের আগের সীমানায় ফিরে যেতে চান। আগামী ডিসেম্বরে এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার লক্ষ্য নিয়ে এগুচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এজন্য সকল প্রস্তুতি গুছিয়ে নিচ্ছে সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানটি।
২০২৩ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ইসির নিবন্ধিত দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থা ছিল ৬৭টি। এরপর ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নতুন ২৯টি সংস্থাকে নিবন্ধন দেওয়ায় নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষক সংস্থা হয় ৯৬টি। আইন অনুযায়ী, এই সংস্থাগুলো ২০২৮ সালের ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত আগামী ৫ বছর বাংলাদেশে অনুষ্ঠিতব্য যেকোনো নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে পারবে। এর আগে ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ছিলো ৮১টি দেশীয় সংস্থার ২৫ হাজার ৯০০ জন প্রতিনিধি।
২০০৮ সাল থেকে ভোট পর্যবেক্ষণের জন্য পর্যবেক্ষক নিবন্ধন দিচ্ছে ইসি। সে সময় ১৩৮টি সংস্থা নিবন্ধন পেয়েছিল। পর্যবেক্ষক হতে হলে ন্যূনতম মাধ্যমিক পাস এবং ২৫ বছরের বেশি বয়সী হতে হয়। প্রতি সংসদ নির্বাচনের আগে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য দেশীয় সংস্থাগুলোকে নিবন্ধন নেওয়ার জন্য আহ্বান জানায় সংস্থাটি। এক্ষেত্রে নিবন্ধন পেয়ে সংস্থাগুলো পরবর্তী পাঁচ বছর স্থানীয় নির্বাচনও পর্যবেক্ষণ করতে পারে।
[বাংলা প্রেস বিশ্বব্যাপী মুক্তচিন্তার একটি সংবাদমাধ্যম। স্বাধীনচেতা ব্যক্তিদের জন্য নিরপেক্ষ খবর, বিশ্লেষণ এবং মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজ আগের চেয়ে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]
বিপি/কেজে