বাংলাপ্রেস ডেস্ক: বাংলাদেশে পুরোদমে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করেছে আদানি গ্রুপ। মূলত বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) বকেয়া অর্থের একাংশ পরিশোধ করার পর এই বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করে গোষ্ঠীটি। বিপিডিবির চেয়ারম্যান রিয়াজুল করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, রিয়াজুল করিম বলেছেন, “আমরা আদানি গ্রুপকে নিয়মিত তাদের পাওনা পরিশোধ করছি এবং আদানি গ্রুপও আমাদের চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে।”
এর মাধ্যমে প্রায় সাড়ে চার মাস পর বাংলাদেশে পুরোদমে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করল আদানি গ্রুপ। কী পরিমাণ অর্থ বকেয়া ছিল এবং সেই বকেয়া অর্থের মধ্যে কত পরিশোধ হয়েছে- সে সম্পর্কিত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি বিপিডিবি চেয়ারম্যান। তবে আদানি গ্রুপ সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের কাছে প্রতিষ্ঠানটির পাওনা অর্থ জমেছিল ৮৫ কোটি রুপি। তার মধ্যে ৫ কোটি রুপি পরিশোধ করেছে বিপিডিবি এবং প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে বাকি অর্থ আগামী ৬ মাসের মধ্যে শোধ করা হবে।
প্রসঙ্গত, ভারতের ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা জেলার এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতাসম্পন্ন যে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি আদানি গ্রুপ নির্মাণ করেছে, সেটি তৈরির এক মাত্র উদ্দেশ্য বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ। ২০১৭ সালে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সরবরাহ সংস্থা বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলেপমেন্ট কর্পোরেশনের সঙ্গে (বিপিডিসি) একটি চুক্তি করেছিল আদানি গ্রুপ। চুক্তির শর্ত ছিল— নতুন এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পুরোটাই বাংলাদেশে আসবে।
পরে ২০২৩ সালের জুনে শেষ হয় বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র নির্মাণের তারপর ওই মাস থেকেই বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করে আদানি গ্রুপ। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবিচ্ছিন্ন থাকার পর তাতে ছেদ পড়ে ২০২৪ সালের আগস্টে বাংলাদেশের সরকার পরিবর্তনের পর। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে গত ৩১ অক্টোবর বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেকে নামিয়ে এনেছিল আদানি গ্রুপ। তারপর গত কয়েক মাস চুক্তির শর্তের তুলনায় অর্ধেক বিদ্যুৎ পাঠিয়েছে আদানি গ্রুপ।
[বাংলা প্রেস বিশ্বব্যাপী মুক্তচিন্তার একটি সংবাদমাধ্যম। স্বাধীনচেতা ব্যক্তিদের জন্য নিরপেক্ষ খবর, বিশ্লেষণ এবং মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজ আগের চেয়ে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]
বিপি/টিআই