ফ্লোরিডায় এক সপ্তাহে ১,১২০ অবৈধ অভিবাসী আটক

নোমান সাবিত: যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যজুড়ে এক সপ্তাহব্যাপী যৌথ অভিযানে রাজ্য ও ফেডারেল কর্তৃপক্ষ স্থায়ী বৈধ মর্যাদা না থাকা ১,১২০ জন অভিবাসীকে গ্রেফতার করেছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
অভিবাসন ও শুল্ক প্রয়োগ (আইসিই) জানিয়েছে, ‘অপারেশন টাইডাল ওয়েভ’ নামে পরিচিত এই অভিযানটি ২১ থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত পরিচালিত হয়।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে শত শত অভিবাসী গুয়াতেমালা, মেক্সিকো ও হন্ডুরাসের নাগরিক এবং অনেকের বিরুদ্ধে বিদেশি গ্যাং সদস্য হওয়ার অভিযোগ রয়েছে বলে জানানো হয়।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আটককৃতদের মধ্যে ৩৭৮ জন অপরাধী অভিবাসী রয়েছেন, যাদের বিরুদ্ধে অভিবাসন বিচারকের মাধ্যমে চূড়ান্ত বহিষ্কারের আদেশ জারি হয়েছে। বাকিরা আইসিই হেফাজতে রয়েছেন এবং তারা এখন অভিবাসন আদালতে শুনানির অপেক্ষায় আছেন অথবা বহিষ্কারের জন্য ভ্রমণ পরিকল্পনার প্রক্রিয়াধীন।
ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডেস্যান্টিস (রিপাবলিকান) বলেন, ‘আমরা গর্বিতভাবে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করছি এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনী ম্যান্ডেট অনুযায়ী আমাদের সীমান্ত সুরক্ষা ও অভিবাসন আইন বাস্তবায়নের অঙ্গীকার পূরণ করছি। এই ধরনের অভ্যন্তরীণ অভিযানে আমরা আরও অংশ নিতে থাকব’।
তিনি জানান, ফ্লোরিডা ডিপার্টমেন্ট অব ল’ এনফোর্সমেন্ট, হাইওয়ে প্যাট্রোল, ফিশ অ্যান্ড ওয়াইল্ডলাইফ কমিশন, ন্যাশনাল গার্ড এবং ইমারজেন্সি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ—সবাই এই অভিযানে অংশগ্রহণ করে।
ফ্লোরিডা কর্তৃপক্ষ আইসিই, ইউ.এস. কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে অংশীদারিত্বে কাজ করে। এছাড়াও এফবিআই, মাদকবিরোধী সংস্থা ডিইএ, অ্যালকোহল-তামাক ও অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ব্যুরো (এটিএফ), এবং ইউ.এস. মার্শাল সার্ভিসও অভিযানে সহায়তা করে। ট্রাম্প প্রশাসন জানায়, এই অভিযান ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্ট অনুযায়ী অনুমোদিত।
আইসিই-এর ডেপুটি ডিরেক্টর ম্যাডিসন শেহান বলেন, ‘গত সপ্তাহে ১,১০০-র বেশি অপরাধী অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেফতারের এই সাফল্য পুরোপুরি এক যৌথ সরকারিভিত্তিক উদ্যোগের ফল, যেখানে ফেডারেল, রাজ্য ও স্থানীয় আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো একসঙ্গে কাজ করেছে।’ কর্তৃপক্ষ এই অভিযানের ভিডিও ক্লিপ প্রচার করে তাৎপর্যপূর্ণ সাফল্য হিসেবে তুলে ধরছে।

[বাংলা প্রেস বিশ্বব্যাপী মুক্তচিন্তার একটি সংবাদমাধ্যম। স্বাধীনচেতা ব্যক্তিদের জন্য নিরপেক্ষ খবর, বিশ্লেষণ এবং মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজ আগের চেয়ে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

বিপি।এসএম