বাংলাপ্রেস ডেস্ক: ঘরের মাঠে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচকে ঘিরে ফুটবলপ্রেমীদের বিপুল প্রত্যাশা থাকলেও এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ২-১ গোলের হতাশাজনক হার নিয়ে মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ। ছোট ছোট ভুলের কারণে ২ গোলে পিছিয়ে পড়ার পর এক গোল শোধ করলেও শেষ পর্যন্ত সমতা ফেরাতে পারেননি হামজা-সমিতরা। এর ফলে মূল্যবান তিন পয়েন্ট অর্জনে ব্যর্থ হলো হ্যাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা।
এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ‘সি’ গ্রুপে বাংলাদেশ, সিঙ্গাপুর, ভারত ও হংকং রয়েছে। মঙ্গলবার (১০ জুন) সিঙ্গাপুরের কাছে বাংলাদেশের হারের দিনে অপর ম্যাচে হংকং ১-০ গোলে ভারতকে পরাজিত করে। এই ফলাফল অবশ্য বাংলাদেশের জন্য কিছুটা ইতিবাচক হয়েছে। সিঙ্গাপুরের কাছে হেরে গেলেও পয়েন্ট টেবিলে ভারতের উপরে অবস্থান করছে লাল-সবুজের দল।
‘সি’ গ্রুপে ভারত ও বাংলাদেশের পয়েন্ট এখন সমান ১। দুটি দলই এখনো জয়ের দেখা পায়নি; দুই ম্যাচে একটি ড্র ও একটি হার তাদের ঝুলিতে। তবে গোল পার্থক্যে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। ভারত এই বাছাইপর্বে এখনো কোনো গোল করতে পারেনি, বিপরীতে এক গোল হজম করেছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ দুই ম্যাচে ২ গোল হজম করলেও একটি গোল দিয়েছে। তাই সমান পয়েন্ট এবং সমান গোল পার্থক্য থাকলেও বাংলাদেশ বেশি গোল করায় পয়েন্ট তালিকার তিনে ও ভারত কম গোল করায় চারে আছে।
তবে ভারত কিংবা দ্বিতীয় স্থানে থাকা হংকংকে পেছনে ফেললেও বাংলাদেশের কোয়ালিফাই করা সহজ হবে না। কারণ এই গ্রুপ থেকে কেবল একটি দলই পরবর্তী পর্বে খেলার টিকিট পাবে। অর্থাৎ, বাছাইপর্ব শেষে টেবিলের শীর্ষে থাকা দলটিই পরের ধাপের জন্য উত্তীর্ণ হবে। তাই এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে হলে বাকি ম্যাচগুলোতে বাংলাদেশকে আরও ভালো খেলে গ্রুপ শীর্ষে উঠতে হবে।
এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে বাংলাদেশের সামনে আরও চারটি ম্যাচ বাকি। এর মধ্যে তিনটি ম্যাচ চলতি বছরই অনুষ্ঠিত হবে, আর শেষ ম্যাচটি হবে আগামী বছর। চলতি বছরের অক্টোবর মাসেই বাংলাদেশ হংকংয়ের মুখোমুখি হবে দুইবার। ৯ অক্টোবর হামজারা ঘরের মাঠে হংকংকে আতিথ্য দেবে, এরপর ১৪ অক্টোবর হংকংয়ের মাঠে খেলতে নামবে। পরবর্তী মাসে অর্থাৎ ১৮ নভেম্বর, বাংলাদেশ নিজেদের মাটিতে ভারতের বিপক্ষে খেলবে। সবশেষে, ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে তাদেরই ঘরের মাঠে বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচটি খেলবে হামজা-জামালরা।
[বাংলা প্রেস বিশ্বব্যাপী মুক্তচিন্তার একটি সংবাদমাধ্যম। স্বাধীনচেতা ব্যক্তিদের জন্য নিরপেক্ষ খবর, বিশ্লেষণ এবং মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজ আগের চেয়ে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]
বিপি/টিআই