বাংলাপ্রেস ঢাকা: আফ্রিকান কুমার শানু’ মাতাচ্ছেন ইন্টারনেট। মাস দুয়েক আগে পোস্ট হওয়া ‘টিপ টিপ বরসা পানি’ দেখে ফেলেছেন চোদ্দো লাখ মানুষ!
কতই রঙ্গ দেখি দুনিয়ায়। দুনিয়াটাই তো ল্যাপটপ, ডেস্কটপ হয়ে হাতের মুঠোফোনের মধ্যে সেঁধিয়ে গিয়েছে। ইন্টারনেট নামক এক সব পেয়েছির দেশ আপনার চোখের সামনে। অফিস যাওয়ার পথে হোক বা ঘুম না আসা মধ্যরাতে, এমনকী টয়লেটেও আজকাল লোকজন ফোন নিয়ে যান। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউবের ভূরি ভূরি চোখ ধাঁধানো সব ‘রঙ্গ’ আপনার চোখের সামনে। বাল্যবন্ধুর সস্ত্রীক গোয়া ট্রিপ হোক বা মধ্যবয়সি আঙ্কলের ‘গোবিন্দা’ নাচ— আপনার চোখ সব সময় ঘুরঘুর ভুবনগ্রামের নীল আকাশে।
তবে ফারাক রয়েছে। প্রথমটা দেখছেন চেনা মানুষ বলে। দ্বিতীয়টা, সবাই দেখছেন বলে। অর্থাৎ ভাইরাল। সবাই দেখছে, তাই আপনাকেও দেখতে হবে। শেয়ার করতে হবে। তা, এই যুবকের গান কি আপনার চোখে পড়েছে? যদি না পড়ে থাকে শুনে নিন তাঁর গান। চমকে উঠবেন।
চেহারায় মিল নেই কোনওখানে। কিন্তু গানের গলায় ইনি রীতিমতো টক্কর দিয়ে চলেছেন কেদার ভট্টাচার্য তথা কুমার শানুকে। গানের সময়ে মুখের এক্সপ্রেশনও অনেকটাই তারকা গায়কের মতো। ‘আফ্রিকান কুমার শানু’ মাতাচ্ছেন ইন্টারনেট। ঠিক এই নামেই ইউটিউব চ্যানেল আছে তাঁর। ঢুকলেই চমকে উঠবেন। মাস দু’য়েক আগে পোস্ট হওয়া ‘টিপ টিপ বরসা পানি’ দেখে ফেলেছেন চোদ্দো লাখ মানুষ! এমনই জনপ্রিয়তা এই আফ্রিকান কুমার শানুর।
কিন্তু কে এই গায়ক? ইনি কি সত্যিই আফ্রিকান? ধন্দ রয়েছে। একই নামে একটি ফেসবুক পেজও রয়েছে। সেখানে ‘অ্যাবাউট’-এ রয়েছে ওই যুবক আইআইটি খড়গপুর থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট। আরও জানা যাচ্ছে, ইনি নাকি পুণের বাসিন্দা। সাড়া দেশ জুড়ে ‘লাইভ’ পারফরম্যান্স করে বেড়ান, লেখা আছে সেকথাও। প্রশ্ন জাগে, যদি সত্যিই এই যুবক পুণের বাসিন্দা হন, তাহলে কেন তিনি নিজেকে ‘আফ্রিকান’ বলছেন? আরও একটা প্রশ্ন। আজকাল টেকনোলজির বাড়বাড়ন্তের যুগে গলার আওয়াজকে নানা ভাবে সম্পাদনা করে রীতিমতো পেশাদার গায়কদের মতো করে দেওয়া সম্ভব। এমন অনেক ধরনের গানই ইন্টারনেটে পাওয়া যায়। এ গানও কি সেই তালিকাভুক্ত? নাকি ওই গায়ক সত্যিই কুমার শানুর মতোই অসাধারণ প্রতিভাসম্পন্ন?
উত্তর যাই হোক না কোন, নেটিজেনরা শুনছেন তাঁর গান। বলা ভাল, দেখছেন। কুমার শানুর সুপার হিট সব গান নতুন এক কণ্ঠস্বর ছুঁয়ে মাতাচ্ছে ইউটিউব।
ভিডিও টি দেখতে এখানে ক্লিক করুন…