বাংলাপ্রেস ডেস্ক, ঢাকা: মস্কোয় মহারণ। তাঁর আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বিশ্বে। এক একটা দেশের হয়ে সমর্থনে একজোট হয়েছেন ফুটবলপ্রেমীরা। চলছে তর্ক-বিতর্ক। রাত জাগার পালা। কে কোন দলের কতবড় ভক্ত তা জাহির করার মরিয়া প্রয়াসে মাতোয়ারা নেটদুনিয়া। তবে সবাইকে তাজ্জব করে দিয়েছেন কেরলের ক্লিপিন ফ্রান্সিস। শুধু ফুটবলের টানে সাইকেলে চেপেই রাশিয়া পৌঁছে গিয়েছেন তিনি।
সামনে থেকে বিশ্বকাপের মহারণ প্রত্যক্ষ করার সাধ অনেকেরই থাকে। কিন্তু সাধ্য থাকে কজনের! কলকাতার পান্নালাল চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী চৈতালি চট্টোপাধ্যায় সে সাধনা করেছেন। নিজেদের খাওয়া-দাওয়া কাটছাঁট করে তাঁরা প্রতিবার বিশ্বকাপ দেখার খরচ জোগাড় করেন। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে কেরলের ফ্রান্সিস যা করেছেন তা রীতিমতো অবাক করার মতো। রাশিয়া পৌঁছেছেন দু-চাকায় চেপেই। ফেব্রুয়ারির আগে থেকেই শুরু করে দিয়েছিলেন প্রস্তুতি। রাশিয়ায় পৌঁছানো, ম্যাচ দেখা, থাকা খাওযার খরচ তো কম নয়। যা অর্থ হাতে ছিল তাতে রাশিয়া যাওয়া হয়ে উঠত না। কিন্তু হাল ছাড়তে নারাজ ফ্রান্সিস। কী করলেন তিনি? ফ্লাইটে করে পৌঁছে গেলেন দুবাই। সেখানে গিয়ে একটা বাই-সাইকেল কিনে নেন। তাতে চেপেই শুরু হয় যাত্রা। সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, ইরান হয়ে চলতে থাকে তাঁর দ্বিচক্রযান। চোখে স্বপ্ন, মনে বল আর প্যাডেলে পা। এই তিনের সম্মীলনেই কেল্লা ফতে। একদিন পৌঁছে গেলেন রাশিয়াতেও।
কিন্তু এতটা পরিশ্রম করলেন কেন? ফ্রান্সিসের উত্তর, স্রেফ ফুটবলের টানে। ছোটবেলা থেকেই ফুটবল ভালবাসেন। আর্জেন্টিনার ফ্যান। বিশ্বকাপের একটি ম্যাচ সামনে থেকে দেখার স্বপ্ন বহুদিনের। কিন্তু যা খরচ তাতে কুলিয়ে উঠতে পারছিলেন না কিছুতেই। কিন্তু তা বলে তো স্বপ্ন মরে যায় না। তাই সাইকেলে চেপেই রাশিয়া পাড়ি দিয়েছেন তিনি। গ্রুপ পর্যায়ে ফ্রান্সের সঙ্গে ডেনমার্কের খেলা দেখবেন। তারপর আবার সাইকেলে চেপেই ফিরে আসবেন কেরলে। শুধু ফুটবলের জন্য পাগল ভক্ত যে ঠিক কী করতে পারেন, তারই নমুনা দেখালেন ফ্রান্সিস।
বাংলাপ্রেস/ আর এল