বাংলাপ্রেস অনলাইন: ১৯১৭-তে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় লিখেছিলেন ‘চরিত্রহীন’। সময়ের থেকে কয়েককদম এগিয়ে থাকা এই উপন্যাসটিকে সেই সময় মেনে নিতে পারেননি রক্ষণশীল সমাজের অনেকেই। রীতিমতো বিতর্কের ঝড় উঠেছিল। পরবর্তীকালে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই বিতর্কিত উপন্যাসটি ক্রমশ কালজয়ী হয়ে ওঠে। শরৎচন্দ্রের সেই কাহিনিই এবার আসতে চলেছে ওয়েব আঙিনায়। এসভিএফ (শ্রীভেঙ্কটেশ ফিল্মস)-এর ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ‘হইচই’-তে আজকের পট ভূমিকায় ‘চরিত্রহীন’-কে নিয়ে আসছেন পরিচালক দেবালয় ভট্টাচার্য। রীতিমতো ডার্ক ও ইনটেন্স এই ওয়েব সিরিজটির প্রেক্ষাপট বর্তমান সময়।
শরৎচন্দ্রের গল্পের কাঠামোটিকে নিয়ে সেটিকে সম্পূর্ণ নতুনভাবে ওয়েব আঙিনার জন্য গড়ে তুলেছেন দেবালয়। ইতিমধ্যেই ‘হইচই’-তে ‘দুপুর ঠাকুরপো’ (সিজন ওয়ান) ও ‘হোলি ফাক’-এর মতো ওয়েব সিরিজ দর্শকদের উপহার দিয়েছেন দেবালয়। মুক্তি প্রতীক্ষায় তাঁর পরিচালিত ছবি ‘বিদায় ব্যোমকেশ’। এমতাবস্থায় ‘হইচই’-তে নিজের তৃতীয় ওয়েব সিরিজে শরৎচন্দ্রর এই বিতর্কিত কাহিনিটিকে বেছে নিয়েছেন দেবালয়। জোর কদমে চলছে ওয়েব সিরিজটির শুটিংয়ের কাজ। শুটিং চলছে কলকাতা ও তার আশেপাশে। আজও সমসাময়িক এই কাহিনির মাধ্যমেই চরিত্রহীনতার শতবর্ষ উদযাপন করতে চাইছেন পরিচালক। কারণ ১০০ বছর অতিক্রান্ত এই উপন্যাসটিকে আজও প্রাসঙ্গিক করেন দেবালয়। সেই জন্যই নামটিকেও একই রেখেছেন তিনি।
ওয়েব সিরিজটিতে মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন নয়না গঙ্গোপাধ্যায়, গৌরব চট্টোপাধ্যায়, সৌরভ দাস ও সায়নী ঘোষ। প্রসঙ্গত এই ওয়েব সিরিজটির হাত ধরে প্রথমবার বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে চলেছেন নয়না, বলিউডে অতি পরিচিত মুখ নয়না আদতে কলকাতারই মেয়ে। ইতিমধ্যেই বলিউডে রামগোপাল বর্মা পরিচালিত শর্টফিল্ম ‘মেরি বেটি সানি লিওনি বননা চাহতি হ্যায়’, হিন্দি ওয়েব সিরিজ ‘গানস অ্যান্ড থাইস’ সহ রামগোপালের পরিচালনায় একটি তেলুগু ছবিতেও কাজ করেছেন নয়না। নয়নার রহস্যঘেরা চোখের জন্যই তাঁকে এই ওয়েব সিরিজে নিয়েছেন দেবালয়। চরিত্রহীনে নয়নাকে দেখা যাবে কিরণময়ীর চরিত্রে। অন্যদিকে কিরণময়ীর স্বামী হারানের চরিত্রে রয়েছেন গৌরব, সতীশ ও সাবিত্রীর চরিত্রে রয়েছেন সৌরভ দাস ও সায়নী ঘোষ, কাহিনি আবর্তিত হয়েছে বিবাহিত দম্পতি হারান ও কিরণময়ীকে কেন্দ্র করে। একসময় শিলিগুড়িতে একটি নামী কোম্পানিতে চাকুরিরত হারান ঘটনাচক্রে এক দুর্ঘটনার শিকার হওয়ার পর থেকেই শারীরিকভাবে অক্ষম তথা পঙ্গু হয়ে যাওয়ায় বাড়িতেই থাকে। কিরণময়ী তার স্বামীকে ভালবাসলেও হারানের মধ্যে ক্রমশ কিরণময়ীকে ঘিরে সন্দেহ প্রবণতা বাড়তে থাকে।
বাংলাপ্রেস/আর এল