Home অন্যান্যএক্সক্লুসিভ ডোমারে চেয়ারম্যান কর্তৃক গৃহবধুকে মারধর

ডোমারে চেয়ারম্যান কর্তৃক গৃহবধুকে মারধর

by Dhaka Office
A+A-
Reset

আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার (নীলফামারী) থেকে: নীলফামারীর ডোমারে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে এক গৃহবধুকে চেয়ারম্যান কর্তৃক মারধরের ঘটনা ঘটেছে, থানায় মামলা, আটক ১। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নে গোসাইগঞ্জ ডাঙ্গা পাড়া গ্রামে।

মামলা সুত্রে জানা যায়, উক্ত এলাকার হত দরিদ্র বাচ্চা মিয়া তার স্ত্রী রমিছা বেগম (৪৫) কন্যা রানী বেগমকে রেখে জীবিকার তাগিদে ঢাকায় রিক্সা চালায়। রমিছার পাতানো ভাই ডাঙ্গাপাড়া আদর্শ গ্রামের মৃত আব্দুলের ছেলে ইব্রাহীম (৭০) তাদের বাড়ীতে বাচ্চা মিয়ার অনুপস্থিতিতে দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে তাদের দেখাশোনা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত বুধবার রাত ৯টায় রমিছার বাসায় গিয়ে কিছু বাজার সদাই দিয়ে ফেরার পথে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা এলাকার কিছু বখাটে ইব্রাহিমকে আটক করে, মিথ্যা অপবাদ দিয়ে মারধর করে। পরে ইউপি চেয়ারম্যান ঘটনা স্থলে এসে ইব্রাহীমের সাথে রমিছার অবৈধ সম্পর্ক আছে মর্মে রমিছাকে স্বীকার করতে বলে।

রমিছা তার কথায় রাজি না হওয়ায় চেয়ারম্যান রমিছাকে বেধরক মারপিট করে এবং মধ্য যুগীয় কায়দায় রমিছাকে থুতু ফেলিয়া পূনরায় তা চাটিয়ে নিয়ে, জোর পূর্বক ইব্রাহীম, রমিছা ও তার মেয়ে রানী (১৩)’র কাছ থেকে নন জুডিশিয়াল ১৫০ টাকা মূল্যের ফাকা ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এরই একপর্যায়ে চেয়ারম্যান তার লোকজন দিয়ে ইব্রাহীমের গোয়াল ঘড় থেকে ৪৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি গরু নিয়ে যায় এবং পরদিন চেয়ারম্যান সেই গরুটি বিক্রি করে। রমিছা অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসার জন্য ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। পরদিন রমিছার স্বামী বাচ্চা মিয়া বাড়ীতে এসে একরামুল চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামী করে ৭ জনের বিরুদ্ধে ডোমার থানায় মামলা নং- ০২, তারিখ- ০৭/০৩/২০ দায়ের করে। ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এজাহারভুক্ত ৭নং আসামী মঙ্গলের ছেলে রতন (৩২) কে গ্রেফতার করে জেলা কারাগারে পঠানো হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

বিপি/কেজে

You may also like

Leave a Comment

কানেকটিকাট, যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত বৃহত্তম বাংলা অনলাইন সংবাদপত্র

ফোন: +১-৮৬০-৯৭০-৭৫৭৫   ইমেইল: [email protected]
স্বত্ব © ২০১৫-২০২৩ বাংলা প্রেস | সম্পাদক ও প্রকাশক: ছাবেদ সাথী