বাংলাপ্রেস ডেস্ক: ঢাকার শ্যামবাজরে বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চ ডুবিতে ১৩ ঘণ্টা পর একজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (২৯ জুন) রাত সোয়া ১০ টার দিকে তাকে জীবিত উদ্ধার করে ডুবুরিরা।
সোমবার সকালে অপর একটি লঞ্চের ধাক্কায় মুন্সীগঞ্জ থেকে আসা ছোট আকারের এই লঞ্চ ডুবে যাওয়ার পরে সারা দিনে ৩২ জনের লাশ উদ্ধার করেছেন ডুবুরিরা। পরে ডুবে যাওয়া লঞ্চটি উদ্ধারের সময় তাতে মধ্যবয়সী একজন পুরুষকে জীবিত পাওয়া গেছে বলে ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন জানিয়েছেন।
তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, রাত সোয়া ১০টার দিকে লঞ্চটি উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছিল, একপাশ একটু পানির উপরেও উঠানো হয়েছিল। ঠিক ওই সময় একজনকে দেখতে পায় ডুবুরি দল। ওই ব্যক্তি কথা বলতে পারেননি। শুধু হাত-পা নেড়েছেন এবং তাকিয়েছেন। তাকে দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পানির ভেতরে ১৩ ঘণ্টা কীভাবে বেঁচে থাকা সম্ভব প্রশ্ন করা হলে ফায়ার ব্রিগেডের মহাপরিচালক বলেন, দুর্ঘটনার সময় লঞ্চটি হঠাৎ উল্টে যায়। এভাবে হঠাৎ উল্টে যাওয়ার পর লঞ্চের ভেতরে নিশ্চয়ই কোথাও ‘এয়ার পকেট’ তৈরি হয়েছে। তাই এত ঘণ্টা তিনি বেঁচে ছিলেন।সুমনের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি বলে জানান তিনি।
সুমন ব্যাপারী (৩৫) নামের এই ব্যক্তি এখন মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা কামরুল হাসান জানিয়েছেন।
কোস্টগার্ড ও নেভির কর্মকর্তারা জানান, তারা যখন উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিটিকে বিভিন্ন প্রশ্ন জিজ্ঞেস করছিলেন তিনি চোখের ইশারায় কথার জবাব দেয়ার চেষ্টা করছিলেন। তবে দীর্ঘ সময় পানির নিচে আটকে থাকায় তার শরীরের তাপমাত্রা নেমে গিয়েছিল। পানির নিচে তলিয়ে গেলেও এ ব্যক্তি কীভাবে বেঁচে গেলেন তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলছে। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি যেখানে আটকা পড়েছিলেন সেখানে হয়তো সেভাবে পানি প্রবেশ করেনি। আজ যখন টিউবের মাধ্যমে বিশেষ প্রক্রিয়ায় লঞ্চটি তোলার চেষ্টা করা হচ্ছিল তখন লঞ্চটি সামান্য ভেসে ওঠার পর ওই ব্যক্তি নিজের প্রচেষ্টায় বেরিয়ে আসেন এবং উদ্ধার কর্মীরা তাকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে নৌকায় তুলেন।
বিপি/কেজে