লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুর সদর-রায়পুর ও রামগঞ্জ উপজেলার আঞ্চলিক মহাসড়কের সীমান্তবর্তী নন্দনপুর গ্রামের বটতলী নামক স্থান পর্যন্ত। এক কিলোমিটারের সড়কটি ২০১০-১২ সালে পাকা করার পর বছর না যেতেই বিভিন্ন স্থান ভেঙে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়। গত পাঁচ বছরে এলাকাবাসী এলজিইডির অধীন এই সড়ক সংস্কারের দাবিতে অভিযোগ করেছেন।
কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাতে কর্ণপাত করেনি। এই সড়ক দিয়ে সদর-রায়পুর ও রামগঞ্জ উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের লোকজন ছাড়াও পাশের দুটি উপজেলার মানুষ চলাচল করে। খানাখন্দের কারণে এ পথে চলতে লোকজনকে ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। অবশেষে স্থানীয় বিশিষ্ট সমাজ সেবক সৈয়দ আবুল কাশেমের অর্থায়নে জেলা পরিষদের সদস্য আরিফের নের্তৃত্বে ১৫/২০ যুবক সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে। সোমবার দুপুরে এক কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের কাজ করেছেন।
প্রথমত, সড়কটি পাকা করার বছর না পেরোতেই ভেঙেচুরে খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে কেন? নির্মাণকাজের গুণগত মান কি নিশ্চিত করা হয়েছিল? সড়কটি স্বাভাবিকভাবে কয় বছর টেকসই হওয়ার কথা ছিল? দ্বিতীয়ত, সড়কটি টেকসই না হওয়ার দায় কাদের? তাদের জবাবদিহির ব্যবস্থা করা হয়েছে কি? তৃতীয়ত, সড়কটি ভেঙে যাওয়ার পর তা মেরামতের দায়িত্ব যে সংস্থার, সেই এলজিইডি কী করেছে? দীর্ঘদিন ধরে একটি সড়ক এ রকম চলাচলের অনুপযোগী হয়ে রয়েছে, মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে অথচ তারা নির্বিকার। একটি সড়ক বছরের পর বছর ধরে চলাচলের অনুপযোগী থাকার জন্য যদি এলজিইডির কাউকে জবাবদিহি করতে হতো বা শাস্তি পেতে হতো, তাহলে হয়তো তার পক্ষে জনদুর্ভোগে এতটা নির্বিকার থাকা সম্ভব হতো না।
প্রতিটি সড়ক-মহাসড়কের স্বাভাবিক স্থায়িত্ব প্রত্যাশিত। কোনো সড়ক ৫ বছর, কোনোটি ১০ বছর টেকসই হওয়ার কথা। কিন্তু দুই-এক বছরের মধ্যেই সেগুলো ভেঙেচুরে যায়, খানাখন্দের সৃষ্টি হয়। অথচ একেকটি সড়ক নির্মাণে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করে সড়ক নির্মাণ বা মেরামত করলে সেই সড়ক টেকসই হওয়ার কথা নয়। কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত লোকের কারণে আমাদের সড়ক ও মহাসড়কগুলো বেহাল। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের জবাবদিহি ও শাস্তির ব্যবস্থা নেই বলে অনিয়ম-দুর্নীতি চলছে। সরকারকে এখন এদিকে নজর দিতে হবে। সড়ক নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। দায়িত্বে অবহেলা ও দুর্নীতির জন্য শাস্তির ব্যবস্থা থাকতেই হবে।
বিশিষ্ট সমাজ সেবক সৈয়দ আবুল কাশেম বলেন, রায়পুর-রামগন্জ ও সদরে যাওয়ার গুরুত্বপুর্ণ বেহাল সড়কটি সংস্কারের জন্য একাধিকবার এলজিইডি প্রকৌশলিকে বললেও সে কর্নপাত করেনি। তাই নীজের টাকা দিয়ে এলাকার যুবকদের নিয়ে প্রায় এক কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের কাজ করে দিয়েছি।
বিপি/আর এল