ঝিনাইদহ থেকে সংবাদদাতা: করোনা মহামারির কারণে মানুষ যখন অনেকটাই ঘরবন্দি তখন ঝিনাইদহে দেখা মিললো সাপের বিরল শঙ্খ দৃশ্য। সাপ নিয়ে কতই না চলচ্চিত্র, কতই না পৌরানিক কাহিনী। বীণ বাজিয়ে নাগ নাগীনিকে ডাকা, কতশত গল্প।
কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে নাটক-সিনেমায় নয়,বাস্তবেই সাপেদের জলকেলি দেখতে পাচ্ছেন ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার বাসিন্দা।স্থানীয়রা জানায়, জলাশয়ে আসা নতুন পানির ওপর সাপের নৃত্য অবলোকন করছে এলাকাবাসি। দুটি সাপের বিরল জলকেলি দেখা যাচ্ছে উপজেলার খালে-বিলে। ৬ থেকে ৭ হাত লম্বা দারাস প্রজাতির সাপের নৃত্য তারা প্রতিদিনই ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্বচক্ষে দেখছেন। সর্বশেষ সোমবারও খালের পানিতে দুটি সাপের ঘণ্টার পর ঘণ্টা নৃত্য দেখেছেন তারা। আউশিয়া গ্রামের ফিরোজ হোসেন জানান, তারা কয়েকদিন ধরে পানিতে দু’টি সাপের নৃত্য দেখছেন। এক/দুই ঘণ্টা না, সারাদিনই বিরল এ ঘটনা দেখা যাচ্ছে। এর আগে তারা কোনদিন এমন দৃশ্য দেখেননি।
শুধু শুনেছেন সাপের নৃত্যের কথা, এবার তা নিজের চোখে দেখলেন। পানির ওপর কয়েক হাত উপরে উঠে একে অপরকে পেঁচিয়ে ধরছে।একই গ্রামের শহিদুল ইসলাম জানান, বাবা-দাদার কাছে সাপের কত কাহিনী শুনেছি। এবার নিজের চোখে দেখলাম। এত সুন্দর দৃশ্য না দেখলে, বর্ণনা করে বোঝানো যাবে না।ঝিনাইদহ সরকারি কেসি কলেজের জীনবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক রহমত আলী জানান, সাপ গর্তবাসী সরিসৃপ প্রাণি। এরা প্রজননের সময় গর্ত ছেড়ে বাইরে আসে। জলে এরা স্বাচ্ছন্নদবোধ করে। সাপের এ প্রজনন সময়টাকে শংখও বলা হয়ে থাকে।
বিপি/কেজে