যশোর থেকে সংবাদদাতা : দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল ইমিগ্রেশন দিয়ে গতএক বছরে ভারতে প্রবেশ করেছে ১২ লাখ ৫৪ হাজার ২৬৩ জন যাত্রী। যার ভ্রমণ কর বাবদ সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ৬৭ কোটি ৪৭ লাখ ৯৩ হাজার ৪৯৪ টাকা।
বেনাপোল সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার রকিবুল ইসলাম যাত্রী পরিসংখ্যান ও রাজস্ব আদায়ের বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন। করোনার কারণে এবার যাত্রীর যাতায়াত গত অর্থ বছরের চেয়ে কমেছে। এছাড়া আদায়কৃত টাকার মধ্যে বেনাপোল সোনালী ব্যাংক আদায় করেছে ৪৭ কোটি ৪৬ লাখ ২২ হাজার টাকা। বাকি টাকা আদায় হয়েছে দেশের অনান্য সোনালী ব্যাংকের শাখায়। ভারতে প্রবেশকারী ৯০ শতাংশ বাংলাদেশি এবং ১০ শতাংশ ভারতসহ অনান্য দেশের রয়েছে। এসব যাত্রীদের কাছ থেকে ভ্রমণ কর আদায়ের কাজ করে থাকে সোনালী
ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। তারা যাত্রী প্রতি ৫শ টাকা ভ্রমণকর এবং বন্দরের ট্যাক্স বাবদ ৪২ টাকা ৮৫ পয়সা আদায় করে থাকে।
বেনাপোলের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, প্রতিবছর এত বিপুল পরিমাণে রাজস্ব আয় হলেও এখানে যাত্রীসেবা বাড়েনি। অবকাঠামো উন্নয়নে নানান প্রতিশ্রুতি আজও বাস্তবায়ন হয়নি। এছাড়া সেবার নামে ট্যাক্স আদায় করা হলেও বন্দরে প্রতিশ্রুতি দেওয়া তেমন কোনো সেবা নাই।
ইমিগ্রেশনে যাত্রী ছাউনি না থাকায় যাত্রীদের দীর্ঘ সময় রোদে পুড়তে আর বৃষ্টিতে ভিজতে হয়। রয়েছে ইমিগ্রেশন ও যাত্রী টার্মিনালে প্রতারক আর ছিনতাইকারীদের দৌরত্ম্য। করোনার কারণে ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞায় গত ১৩ মার্চ থেকে এপথে বাংলাদেশিদের ভারত যাতায়াত বন্ধ রয়েছে। তবে ভারতীয় হাইকমিশনারের বিশেষ অনুমতিতে ভিআইপি ব্যক্তিদের যাতায়াত সচল রয়েছে বলে ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে।
বিপি/আর এল