আজমীর হোসেন তালুকদার, ঝালকাঠি: করোনা পরিস্থিতিতে ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঝালকাঠি শহরের গুরুদাম এলাকায় সর্ববৃহৎ অস্থায়ী কোরবানীর পশুর হাট বসানোর পক্ষে-বিপক্ষ নিয়ে স্থানীয় সরকার দলীয়নেতাকর্মীরা দুগ্রুপে বিভক্ত হয়ে পরেছে।
একপক্ষ এবছর পশুর হাটের অনুমতি না দেয়ার জন্য জেলা প্রশাসকসহ পৌর মেয়রের কাছে আবেদন অন্যপক্ষ প্রতি বছরের ন্যায় পশুরহাটের অনুমতি চেয়ে পৌর মেয়রের কাছে আবেদনের মাধ্যমে মুখোমুখী অবস্থান নিয়েছে।
এনিয়ে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। জানা গেছে, জেলা প্রশাসক ও পৌর মেয়রের বরাবরে করোনা মহামারির কারণে এ বছর গুরুদাম এলাকায় পশুরহাট না বসানোর দাবিতে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, যুবলীগ নেতা জামাল হোসেন মিঠুসহ তার দলীয় স্থানীয় ৬ নেতাকর্মী স্বাক্ষরিত আবেদন করেন। আবেদনে উল্লেখ করেন, অনেক বছর যাবত ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঝালকাঠি শহরের গুরুদাম এলাকায় কোরবানি পশুর হাট বসে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পশু ব্যবসায়ীরা আসেন এখানে কোরবানির পশু বিক্রি করতে এবং ঝালকাঠিসহ পার্শ্ববতী জেলার লোকজনও কোরবানির পশু কিনতে এখানে সমবেত হয়। কিন্তু বর্তমানে ঝালকাঠিতে করোনা সংক্রমণ ও রোগীর সংখ্য হু হু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এঅবস্থায় কোরবানির হাট বসলে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গরু ব্যবসায়ীদের আনাগোনা ও ক্রেতা সমাগমে করোনা সংক্রমনের সংখ্যা আরও বাড়বে। স্থানীয়দের এহেন স্বাস্থ্যঝুঁকির কারনে জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় কোরবানির পশুরহাট না বসানোর জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন করেন। অপরদিকে পশুরহাট বসানোর জন্য স্থানীয় কাউন্সিলর দুলাল হাওলাদার জেলা যুবলীগ নেতা, সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার ইয়াদ মোর্শেদ প্রিন্স, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি রিপন মল্লিকসহ স্থানীয়দের নিয়ে মতবিনিময় বৈঠক করেছেন। পরবর্তীতে তারা পৌর মেয়রের বরাবরে বহু বছরের এ পশুরহাট বসানোর জন্য অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন।
তাদের দাবী, কয়েকহাজার লোকের সমাগমে জমজমাট হয় কোরবানির পশুরহাট। এ উপলক্ষ্যে ক্ষুদ্র ব্যবসার মাধ্যমে স্থানীয় কিছু বেকার যুবকদেরও কর্মসংস্থান হয়। এতে এলাকার সর্বসাধারণের অর্থনৈতিক স্বার্থের কথা বিবেচনা করে অতিশিঘ্রই তারা অনুমতি চেয়েছেন। অনুমতি পেলে তারা স্বাস্থ্য বিধি ও সামাজিক দ‚রত্বের নিয়ম মেনে হাট পরিচালনা করবেন বলে জানান।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন জানান, এখানে কোরবানির হাট বসলে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ব্যবসায়ী ও আন্তঃজেলা ক্রেতাগণের সমাগমে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার আশংকা বাড়বে। স্থানীয়দের স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও জনস্বাস্থ্য বিবেচনা পূর্বক কোরবানির পশুরহাট বসানোর বিষয়টি প্রশাসনের বিবেচনা করা উচিত। ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) আহমেদ হাসান জানান, জেলা প্রশাসন শহরের মধ্যে, আবাসিক এলাকা বা সড়কের ওপরে কোরবানি পশুর হাট বসানোর অনুমোদন দিবেনা। শহরতলির নির্জন ও পরিত্যক্ত খোলা মাঠে এ হাট বসানোর অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে।
বিপি/আর এল