ফরিদপুর থেকে সংবাদদাতা : ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে স্থানীয় রাজনৈতিক একটি কুচক্র মহল। ওই মহলটি গত নির্বাচনে চেয়ারম্যানের প্রতিদ্ব›দ্বী হিসেবে লড়াই করে বিপুল ভোটে তার (মোশাররফ হোসেনের) কাছে পরাজিত হয়।
পরাজিত হওয়ার পর থেকে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে ষড়যন্ত্র করে আসছে। সাংবাদিকদের ভূল তথ্য দিয়ে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ভিত্তিহীন মনগড়া সংবাদ পরিবেশন করিয়েছে। স্থানীয় একটি পত্রিকায় তার বিরুদ্ধে যে সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে তার কোন ভিত্তি নেই বলে জানালেন মোশাররফ হোসেন। মোশাররফ হোসেন জানান, বিভিন্ন অনলাইন মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে লিখেছে বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থআত্মসাৎ, কর্মসংস্থান কর্মসূচীর আওতায় প্রকল্প, এল.জি.এস.পি, প্রকল্প, খাল খনন, মাটিভরাট, কৃষকদের মেশিন সরবরাহে অনিয়ম ও বৃক্ষের চারা রোপেন বিতরণে অনিয়মসহ অসংখ্যঅভিযোগ উঠেছে। চেয়ারম্যান হত দরিদ্রদের মাঝে মানবিক সহায়তা বিতরণ করেনি।
১৬৪২জন দুস্থ ও হত দরিদ্রদের তালিকায় একই ব্যক্তির নাম দুই বার ৩৫ জন দরিদ্রদের গ্রামের আলাদা দেখানো হয়েছে। ৫টি প্রকল্পের উপকার ভোগী নামের অনিয়ম নিয়ম করেছে। এ সকল তথ্য আদেও সত্য নয়। মানবিক সহায়তাসহ সকল কিছু সঠিক ভাবে বিতরণ করা হয়েছে। যা যা বিতরণ করেছি তার মাস্টার রুল রয়েছে এবং প্রত্যেকের ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে তার পর শতভাগ সঠিক ভাবে বিতরণ করেছি। আমার ইউনিয়নে কোন কিছুর অনিয়ম হয়নি। তিনি আরও বলেন, আমার জনপ্রিয়তা শীর্ষে রয়েছে যার কারণে ওই কুচক্র মহল আমার জনপ্রিয়তা নষ্ট করার জন্য আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা গুজব রটায় বেড়াচ্ছে। ওই মহলটি ইউনিয়নে বিভিন্ন অপরাধ করে বেড়াচ্ছে।
৪.৫.৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত ইউপি সদস্য মর্জিনা বেগম, ৪ নং ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য মো. জিয়াউর রহমান, ১ নং ওয়ার্ড আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন, ৫নং ওয়ার্ড আ’লীগ নেতা ও ইউপি সদস্য মো. মুন্নু মোল্যা বলেন, আমাদের ইউপি চেয়ারম্যান সততার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। চেয়ারম্যান কোন অনিয়ম করেন না। কোন ইউপি সদস্যকেও অনিয়ম করতে দেন না। ইউনিয়নে সরকারী কোন কিছু আসলে পরিষদের সকল সদস্যকে ডেকে জানান। এবং তা সঠিক ভাবে সঠিক লোকদের মাঝে বিতরণ করেন।
সততার সাথে কাজ করার কারণে চেয়ারম্যান জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে। তার বিরুদ্ধে একটি চক্র বিভিন্ন রকম মিথ্যা গুজব ছড়াচ্ছে। সামনে নির্বাচন তাই তার প্রতিপক্ষরা তার জনপ্রিয়তা নষ্ট করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। ওই মহলটি দীর্ঘদিন ধরে গুজব ছড়াচ্ছে। করোনা কালিন সময় সরকারী অনুদান তো দিয়েছে ব্যক্তিগত লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে খাদ্য সামগ্রী কিনে অসহায়দের মাঝে বিতরণ করেছেন। উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক পূর্বভারদি গ্রামের সিরাজুল ইসলাম (৫৫), কমলেশ্বরদী গ্রামের আ’লীগ নেতা মো. নাজিমদ্দিন (৩৫), বাগদিয়া গ্রামের আ’লীগ নেতা আবুল বাশার (৪৫) জানান, বর্তমান চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে সাধারণ মানুষ সব কিছুই নিয়মিত পাচ্ছে।
মানুষের বিপদে আপদে তাদের পাশে গিয়ে দাড়াচ্ছে। এই যে করোনা কালিন সময় সরকারী অনুদান তো মানুষকে দিয়েছেই আবার নিজের টাকা দিয়ে চাল কিনে মানুষকে দিয়েছে। কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে তার বাড়িতে চাল ডালসহ সব ধরণের খাদ্য সামগ্রী কিনে পৌছায় দিয়েছে। আমাদের ইউনিয়নের গরীব অসহায় মানুষগুলো প্রচুর পরিমাণে সাহায্য সহযোগিতা পাচ্ছে চেয়ারম্যানের নিকট থেকে। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে এলাকার একটি প্রতিপক্ষ চেয়ারম্যানকে নিয়ে যড়যন্ত্র করছে। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা বানোয়াট গুজব রটায় বেড়াচ্ছে। যা সত্য নয়।
এ ছাড়া ওই মহলটি চেয়ারম্যানকে হয়রানি করার চেষ্টা করছে। এ ছাড়া দাদপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ৫০টি লোকের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, আমাদের চেয়ারম্যান ১০০পারসেন্ট সততার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। এমন মানবিক চেয়ারম্যান পাওয়া কষ্ট সাধ্য।
বিপি/আর এল