মোঃ হুমায়ুন কবির,গৌরীপুর : সপ্তাহের ব্যবধানে গৌরীপুর বাজারগুলোতে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। কেজিতে বেড়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। কাঁচা মরিচের ঝাল খেতে হলে এখন কেজিতে গুনতে হবে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা।
সোমবার (২০ জুলাই) পৌরশহরসহ উপজেলার অনেক বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন-টানা বৃষ্টিতে কাঁচা মরিচের ক্ষতি হয়েছে, এজন্য দাম বেড়েছে। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, কার্যকরী বাজার তদারকি ব্যবস্থা না থাকায় হঠাৎ করেই ব্যবসায়ীরা কাঁচা মরিচের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকা। এখন বাজারে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে বিন্দু জাতের মরিচ। এ মরিচ ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০ টাকা। ৭০ টাকার জিটকা ও জিয়া বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। গত সপ্তাহে ৬০ টাকায় বিক্রি হওয়া সাদা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। কাঁচা মরিচের দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে পৌর শহরের ব্যবসায়ী মো. রমজান বলেন, ‘বৃষ্টিতে মরিচের অনেক ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। আবার অনেক জায়গায় বন্যাও হয়েছে। এ কারণে দাম বেড়েছে।
তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, ‘আগে যেখানে ১০ টা মরিচ গাছ ছিল পানি জমে ৫ টাই নষ্ট হয়ে গেছে। আমদানি কমে গেছে। আমদানি কমলে তো দাম বাড়বেই। আর আমাদের বিক্রিও কমে গেছে। এত দামের মরিচ কেউ খেতে চায় না।’ এ অবস্থা মাসখানেক বা তার বেশি থাকতে পারে বলেও জানান তিনি।’ খুচরা ব্যবসায়ী মো. নাসির জানান, আড়তে আগের মত মরিচ আসে না। দাম বাড়ছে আর বিক্রিও কমছে। আগে ১০ কেজি মরিচ বিক্রি করতাম এখন তিন কেজিও বিক্রি হয় না। শাহগঞ্জে বাজার করতে আসা রোকেয়া আক্তার বলেন, ‘করোনার কারণে মানুষের আয় ইনকাম কমছে। আর সবজির দামও বাড়ছে। মরিচের দাম বাড়ছে সবচেয়ে বেশি।
আগে এক ১ কেজি মরিচ কিনতাম ৪০ টাকা দিয়ে। এখন তা কিনতে হচ্ছে ২০০ টাকা দিয়ে। সময় খারাপ, কি করে যে চলবো। বাজার তদারকিও করা হয় না। কার্যকরী বাজার তদারকি ব্যবস্থা থাকলে হয়তো এতটা বাড়তো না। তবে পেঁয়াজের দাম বাড়া থেকে শিক্ষা নিয়েছি, দাম বাড়লে কম খাবো।
বিপি/আর এল