বাংলাপ্রেস ডেস্ক: বর্তমানে হত্যাকাণ্ড হলে মানুষ বিচার চাইতে পারে; কিন্তু ৭৫-এ ১৫ আগস্টে ঘৃণিত হত্যাকাণ্ডের পর সে সুযোগটাও ছিল না। শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ভার্চুয়াল মিলাদ মাহফিলে দুঃসহ সে স্মৃতি স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার এ অবস্থার পরিবর্তন আনতে চায়। দেশের মানুষের অধিকার ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠাই তার লক্ষ্য।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্ট শহীদদের স্মরণে শুক্রবার (১৪ আগস্ট) ৫০ হাজারবার কোরআন খতম উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও সমাজ কল্যাণ অধিদফতর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এতিম বলে এতিমদের দুঃখ সবচেয়ে বেশি উপলদ্ধি করেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সমাজের অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য একটি সুন্দর ভবিষ্যত বিনির্মাণে কাজ করছেন তিনি।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, তোমরা একা না, তোমাদের পাশে আছি। আমি এবং আমার ছোট বোন সব সময় তোমাদের কথা চিন্তা করি। আমাদের ছেলে-মেয়ে, নাতি পুতি যারা মারা গেছেন; তাদের জন্মদিনে আমরা বড় করে দাওয়াত খাওয়াই না, পার্টিও করি না। আমরা খুঁজে আমাদের মতো যারা অসহায় শিশুরা রয়েছেন; সেখানে জন্মদিনের উৎসবটা তোমাদের মতো শিশুদের নিয়ে করতে চাই। সততা ও নিষ্ঠা নিয়ে কাজ করবে। কেননা সততা বড় একটা শক্তি। আর তুমি যদি দেশের জন্য নিজেকে গড়ে তোলো। এতে তুমি বড় হয়ে আরও অনেক এতিমদের সাহায্য করতে পারবে। তাদের পাশে দাঁড়াতে পারবে; তাদের জন্য সুন্দর ভবিষ্যৎ রচনা করতে পারবে। আমার সব সময় এটাই প্রচেষ্টা; তোমাদের জন্য একটা সুন্দর ভবিষ্যৎ রচনা করা।
তিনি আরও বলেন, মানুষ একটা শোক সইতে পারে না। আর কি সহ্য করে আছি। শুধু একটা চিন্তা করে, এই দেশটা আমার বাবা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। তিনি এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে চান। যতটুকু আমার সাধ্য সেটা আমি করে দিয়ে যাবো। যেন তার আত্মাটা শান্তি পায়।
বিপি/আর এল