আব্দুল মালেক নিরব, লক্ষ্মীপুর থেকে : চায়ের সঙ্গে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে চা দোকানদার কামাল ও মোটর সাইকেল চালক জাবেদের বিরুদ্ধে।
সোমবার রাতে সদর উপজেলা রমণীমোহন ইউনিয়নের মাতাব্বরহাট গ্রামের ৯ নং ওয়ার্ডে বশির মিস্ত্রি বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে!
মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে তারা দুজনেই সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছ। টনাটি ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে স্থানীয় স্বপ্ন মাঝি, আলাউদ্দিন মাঝি সহ একটি প্রভাবশালী গোষ্ঠী। এই ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। ঘটনার পর থেকে অপরাধীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে। অভিযুক্ত চা দোকানদার কামাল(২৫)মাতাব্বরহাট গ্রামের মতলব মাঝির ছেলে, মোটর সাইকেল চালক জাবেদ একই এলাকার মোস্তফা মাঝির ছেলে।
নির্যাতিত আহত স্বামী জাফর জানান,সোমবার দিবাগত রাত ৯ ঘটিকার দিকে কামাল আমাকে, আমার স্ত্রীকে চায়ের সাথে কিছু মিশিয়ে দিয়ে খাইয়ে দেয়, ঘন্টাখানেক পর ঘুমের ভাব আসে।তারপর ভূমিও করি। কিছুক্ষন পর ঘুমিয়ে পড়ি। এতে গভীর রাতে কামাল ঘরে ঢুকে আমার স্ত্রীকে ধর্ষণ করে,আমি টের পেলে ঘুমের ভাব অবস্থায় আমি কামালের লুঙ্গি জড়িয়ে ধরলে সে ঝাকানি দিয়ে পালিয়ে যায়,পরে আমার স্ত্রীকে আমি উলঙ্গ অবস্থায় দেখতে পায়। ভিকটিমের শশুর শাশুড়ী বাড়িতে ছিলেনন। তারা ভোলায় মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। ঘটনার এক’দিন পর তারা বাড়িতে আসলে ঘটনাটি খুলে বলেন। এ ঘটনার ন্যায় বিচার দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত জাবেদ জানায়,ঘটনার দিন রাত ২ ঘটিকার দিকে বেড়ি উপরে কামালের সঙ্গে দেখা হলে তিনি একটি মোবাইল ফোন আমার কাছে রেখে চলে যায়। ধর্ষনের সাথে জড়িত নয় বলে দাবি করেন তিনি।
শুক্রবার লক্ষ্মীপুর সদর থানার (ওসি) আজিজুর রহমান মিয়া জানান,ঘটনাটি খবর পেয়েছি, তদন্ত করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিপি/আর এল