ফরিদপুর থেকে সংবাদদাতা: ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ময়না ইউনিয়নের হাটুভাঙ্গা, মিরেরচর ও পাঁচ ময়না গ্রামে প্রায় ৪ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা পাকা করণের দাবিতে ওই রাস্তায় ধানের চারা রোপন করে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। ‘ময়না চেয়ারম্যান বাড়ি হতে হাটুভাঙ্গা-মিরেরচর গ্রাম হয়ে পাঁচ ময়না মসজিদ পর্যন্তু’ রাস্তাটি দীর্ঘদিনেও পাকা না হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে তিনগ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ। এছাড়া পথচারীদেরও পড়তে হচ্ছে দুর্ভোগে।
বুধবার (২৬ আগষ্ট) দুপুরে উপজেলার ময়না ইউনিয়নের হাটুভাঙ্গা-ময়না সড়কে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে অংশ নেন ওই এলাকার বিভিন্ন শ্রেনিপেশার প্রায় এক হাজার নারী-পুরুষ। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ময়না ইউনিয়ন আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাশেদ মোল্যা, ৮ নম্বর ওয়ার্ড আ.লীগ সভাপতি মুজিবুর রহমান, হাটুভাঙ্গা প্রি-ক্যাডেট একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা
মুরাদ মিয়া, ৯ নম্বর ওয়ার্ড আ.লীগের সহ-সভাপতি মতিয়ার রহমান, শিক্ষার্থী সাদিয়া, ওমর ফারুক, আনিসুর রহমান প্রমুখ।
মানববন্ধনে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, ময়না ইউনিয়নের শতবর্ষী ‘ময়না চেয়ারম্যান বাড়ি হতে হাটুভাঙ্গা-মিরেরচর গ্রাম হয়ে পাঁচ ময়না মসজিদ পর্যন্তু’ প্রায় ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ কাঁচা রাস্তাটি দীর্ঘদিন পাকা না হওয়ায় এখন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এমন বেহালদশায় সড়ক পাঁকা করণের জন্য নানা জায়গায় ধর্ণা দিয়েও কোন কাজ হচ্ছে না গ্রামবাসীর। সড়কটি তিন গ্রামবাসীর উপজেলা শহরে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হওয়ায় এলাকার রোগী, গর্ভবতী নারী, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ সব পেশাজীবি মানুষেরা চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ময়না এসি বোস ইনষ্টিটিউশনের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী সাদিয়া বলেন, ‘এ এলাকায় প্রায় ১০ হাজার লোকের বসবাস। প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে প্রায় দুই হাজার মানুষ যাতায়াত করে। একটু বৃষ্টি হলেই সড়কটি চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ে’। হাটুভাঙ্গা গ্রামের সত্তর বছর বয়সী কালু মন্ডল বলেন, জন্মের পর থেকে আমাদের গ্রামে কাঁচা রাস্তায় দেখছি। এ পর্যন্তু কত জনপ্রতিনিধি দেখলাম সড়কটি পাকাকরণের জন্য সবাই আশ্বাসই দিয়েছে। কিন্ত কাজের কাজ কেউ করেননি।
সড়কে জনসাধারণের ভোগান্তির কথা স্বীকার করে ময়না ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাসির মো. সেলিম বলেন, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ওই রাস্তাটি স্থানীয় সাংসদের তালিকায় দেওয়া আছে। বাজেট হওয়ার পর কাজ শুরু হবে।
বোয়ালমারী উপজেলা প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম করোনায় আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ থাকায় একাধিকবার মুঠোফোনে যোগযোগ করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
বিপি/আর এল