বাংলাপ্রেস ডেস্ক: ২৩১ রানের লক্ষ্যে নেমে ব্যাট হাতে উড়ন্ত সূচনাই করেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। এরই মাঝে নিজের ২৮তম ফিফটিও তুলে নেন তামিম। এরপরই ক্যারিবীয় স্পিনে মড়ক লাগে ইনিংসে! একের পর এক ব্যাটিং ব্যর্থতায় বিপর্যয়ে পড়ে দল। যা থেকে আর উঠে দাঁড়াতে পারেনি আর, সহজ জয়কে সহজ পরাজয়ে রুপ দিলো বাংলাদেশ।
শেষ ভরসা মেহেদী মিরাজ ৩১ রান করে আউট হলে ১৭ রানের অনিন্দ্যসুন্দর জয় তুলে নিয়ে টাইগারদের ২-০ ব্যাবধানে হারিয়ে ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার প্রতিশোধ নিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যে জয়ে রাহকীম কর্নওয়াল একাই নিয়েছেন ৯টি উইকেট এবং ক্যাপ্টেন ব্রাথওয়েট ও ওয়ারিক্যান নেন ৩টি করে উইকেট।
১৬৮ রানে অষ্টম উইকেট হারানোর পর শেষ দুইজনকে নিয়ে তখনও আশা জিইয়ে রেখেছিলেন প্রথম টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান মেহেদী মিরাজ। তবে দলীয় ১৮৮ রানে নাঈম হাসান (১৪) আউট হয়ে গেলে শেষ দিকে একাই লড়াই চালিয়ে দলকে অনেকটা কাছাকাছি নিয়ে যান মিরাজ। তিন চার ও দুই ছয়ে ৩১ রানে ওয়ারিক্যানের তৃতীয় শিকার হলে শেষ হয়ে যায় সব আশা ভরসা। ২-০ ব্যাবধানে সিরিজটি জিতে নিয়ে আনন্দ উৎসবে মাতে ক্যারিবীয়রা।
এর আগে সৌম্য সরকার ১৩ রানে এবং তামিম ইকবাল ৫০ রান করে ক্যারিবীয় ক্যাপ্টেন ব্রাথওয়েটের পাতা ফাঁদে ধরা পড়েন। নাজমুল হোসাইন শান্ত (১১) ব্যর্থ হন আবারও, শিকার হন কর্নওয়ালের। ক্যারিবীয় এই দানব পরে আরও তিনটি উইকেট। মাঝে ওয়ারিক্যান ৩টি ও ব্রাথওয়েট আরও একটি উইকেট তুলে নিলে অসহায় আত্মসমর্পন করে বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় এই টেস্টের প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে দাপট দেখালেও দ্বিতীয় ইনিংসে টাইগার বোলিং তোপের মুখে ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেমে যায় মাত্র ১১৭ রানে। যাতে ২৩০ রানের লড়াকু পুঁজি পেয়েছে তারা। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সিরিজের শেষ টেস্টে এখন জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করছে বাংলাদেশ।
এর আগে দ্বিতীয় ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৮ করেন এনক্রুমাহ বোনার। এছাড়াও ২০ রান এসেছে জসুয়া ডা সিলভার ব্যাট থেকে। বাংলাদেশের হয়ে ৩৬ রান খরচায় ৪ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। এছাড়া নাইম হাসান ও আবু জায়েদ রাহীর শিকার যথাক্রমে ৩ ও ২ উইকেট।
তার আগে প্রথম ইনিংসে ১১৩ রানের লিড নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম ইনিংসে তাদের করা ৪০৯ রানের জবাবে ২৯৬ করেই থামে বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ ৭১ রান করেন লিটন। এছাড়াও মুশফিকুর রহিম এবং মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাট থেকে আসে যথাক্রমে ৫৪ ও ৫৭ রান। সফরকারীদের হয়ে একাই ৫ উইকেট নেন রাহকিম কর্নওয়াল। তিনটি উইকেট য্য শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের ঝুলিতে।