বাংলাপ্রেস ডেস্ক: ৭০০ বছর আগের ঘটনা। জার্মানির এক ছোট্ট শহর হ্যামিলন। সেই শহরে ইঁদুরের যন্ত্রণায় অতিষ্ট হয়ে উঠেছিলেন সবাই। শেষে এক বাঁশিওয়ালা এসে তাদেরকে ইঁদুরের উৎপাত থেকে মুক্ত করে। গল্পটি লিখেছিলেন জার্মানির গ্রিম ভ্রাতৃদ্বয়।
সেই বিখ্যাত গল্পের হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার সাথে যেন মিল পাওয়া গেল বাংলাদেশের যশোরের কেশবপুরের একজন বংশীবাদকের। নাম মাহাতাব মোড়ল, এলাকার সবাই তাকে চেনেন মৌমাছি মাহাতাব নামে। তিনি বাঁশিতে ফুঁ দিতেই ঝাঁকে ঝাঁকে মৌমাছি এসে জড়ো হয় শরীরে।
ছোটবেলা থেকেই মৌচাক থেকে মধু আহরণ করতে শুরু করেন মাহাতাব। ওই সময় বালতিতে শব্দ করে চাক থেকে মৌমাছি দূরে সরিয়ে দেওয়ার কৌশলও রপ্ত করেন তিনি। প্রথমে টিনের থালার মাধ্যমে একটি দুটি মৌমাছি শরীরে নিতে নিতে এখন বাঁশির সুরে হাজারও মৌমাছি আনতে পারেন তিনি।
মাহাতাব মোড়লের বাড়ি ছিল সুন্দরবন-সংলগ্ন কয়রা উপজেলায়। সুন্দরবনসহ সাতক্ষীরা, খুলনা ও যশোর অঞ্চলে তিনি ছোটবেলা থেকে বাবার সঙ্গে মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহ করেন। মধুর মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহ করতে গিয়ে মৌমাছির প্রতি তার ভালোবাসা জন্মায়।
বাড়ির পাশেই একটি মৌমাছির মৌচাক রয়েছে। বাঁশি বাজালে সুর শুনে হাজারো মৌমাছি এসে বসে। মৌমাছি বসতে বসতে শরীর তার মৌচাকের আকার ধারণ করে। কৌশলগত ওই সুর শুনে এখন হাজারও মৌমাছি তার শরীরে জড়ো হয়। বাঁশি বাজানো বন্ধ করলে মৌমাছি চলে যায়।
বিপি/কেজে