বাংলাপ্রেস ডেস্ক: শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘শিক্ষার্থীদের টীকাদানের কর্মসূচি জোরদার করা হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হলে কর্মসূচি বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আমরা পর্যালোচনা করছি, গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি, কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংক্রমণের খবর পাইনি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরও নজর রাখছে। আমরা নিয়মিতভাবে জাতীয় পরামর্শক কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। ফলে এখনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার বিষয়ে ভাবছি না।’
রোববার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে সাভারের বাংলাদেশ লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (বিপিএটিসি) এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
দিপু মনি বলেন, ‘যতটুকু সম্ভব জীবন স্বাভাবিক রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু রয়েছে। তবে যদি তেমন বড় প্রয়োজন দেখা দেয় আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবো।’
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) যেভাবে সিদ্ধান্ত নেয়, সেটা ভাবা হবে। আমরা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় পরামর্শক কমিটির সঙ্গে কথা বলেছি। সেখানে তারা জানিয়েছেন, তারা নিয়মিত মনিটরিং করছেন। স্বাস্থ্যবিধি খুব কঠোরভাবে তারা মানার চেষ্টা করছেন। এরমধ্য দিয়ে কোথাও তারা কোনো সংক্রমণের আশঙ্কা দেখছেন না। সে কারণেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলা আছে।’
শিক্ষার্থীদের টিকার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি বেসরকারিসহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষার্থী পরিচয় নিয়ে গেলেই টিকা পাবেন। এখানে কাউকেই বাদ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’
বিশ্ববিদ্যালয় খোলা বা বন্ধ রাখার প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত। আমরা বলতে চাই যতটা সম্ভব স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বাভাবিক জীবনযাপন রেখে আমরা করোনার প্রকোপ মোকাবিলা করবো। এটিই আমাদের সিদ্ধান্ত। যদি তেমন প্রয়োজন দেখা দেয়, তবে নিশ্চয়ই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এখন পর্যন্ত আমরা যেভাবে পর্যবেক্ষণ করছি, তাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।’
শিক্ষার্থীদের টিকাদানে অব্যবস্থাপনার প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের টিকাদানে এখনো যেভাবে চিন্তা করা হয়েছে, সেভাবেই চলবে। যদি ভিন্ন কোনোভাবে নেওয়ার প্রয়োজন হয়, সেটা করা হবে।’
বই বিতরণের বিষয়ে অনিয়মের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাহিদার ভিত্তিতে বিনামূল্যে বই পৌঁছে দেওয়া হয়। বই বিতরণে কোনো অনিয়মের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিপি/কেজে