বাংলাপ্রেস ডেস্ক: চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় তিনটি বিষয়ে পরীক্ষা হবে না। এসব বিষয়ে সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হবে। অন্যদিকে এইচএসসিতে একটি বিষয় বাদে বাকি বিষয়গুলোর ওপর পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা প্রশাসন।
মঙ্গলবার (১ মার্চ) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক তপন কুমার সরকার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এর আগে গত রোববার শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানদের সংগঠন ‘আন্তশিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানস কমিটির’ সভায় এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রস্তাব করা হয়েছিল। এখন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে এসব সিদ্ধান্ত জানাল শিক্ষা বোর্ড।
এসএসসিতে যেসব বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হবে- বাংলা, ইংরেজি, গণিত, পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন, উচ্চতর গণিত, জীববিজ্ঞান, হিসাব বিজ্ঞান, ব্যবসায় উদ্যোগ, ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং, বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্ব সভ্যতা, ভূগোল ও পরিবেশ, পৌরনীতি ও নাগরিকতা, অর্থনীতি, গার্হস্থ্য বিজ্ঞান এবং কৃষি শিক্ষা।
যেসব বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হবে না- ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ও বিজ্ঞান।
নম্বর বিভাজন নিয়ে বলা হয়েছে, যেসব বিষয়ে ব্যবহারিক শিক্ষা নেই, সেসব বিষয়ে ৫৫ নম্বরের (সৃজনশীল ৪০, এমসিকিউ ১৫) পরীক্ষা হবে। আর যেসব বিষয়ে ব্যবহারিক শিক্ষা আছে, সেসব বিষয়ে ৪৫ নম্বরের (সৃজনশীল ৩০, এমসিকিউ ১৫) পরীক্ষা নেওয়া হবে। আর ইংরেজি ১ম ও ২য় পত্রে ৫০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। সব মিলিয়ে পরীক্ষার সময় দুই ঘণ্টা করে নির্ধারণ করা হয়েছে।
অন্যদিকে, এইচএসসিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বাদে বাংলা, ইংরেজি, গ্রুপভিত্তিক নৈর্বাচনিক তিনটি বিষয় এবং একটি ঐচ্ছিক বিষয়ের ওপর পরীক্ষা হবে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের মূল্যায়ন হবে ‘বিষয় ম্যাপিং’ করে।
স্বাভাবিক সময়ে এসএসসিতে বিভিন্ন বিষয়ে ১২টি পত্রে ও এইচএসসিতে বিভিন্ন বিষয়ে ১৩টি পত্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
এইচএসসিতে যেসব বিষয়ে ব্যবহারিক শিক্ষা আছে, সেসব বিষয়ে ৪৫ নম্বরে এবং যেসব বিষয়ে ব্যবহারিক শিক্ষা নেই, সেসব বিষয়ে ৫৫ নম্বরের পরীক্ষা হবে। তবে বাংলা দ্বিতীয় পত্রে ৫০, ইংরেজি প্রথম পত্রে ৫০ ও দ্বিতীয় পত্রে ৫০ নম্বরের ভিত্তিতে পরীক্ষা হবে। এইচএসসিতেও পরীক্ষা হবে দুই ঘণ্টায়।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষা হবে আগামী ১৯ জুন এবং এইচএসসি পরীক্ষা হবে আগামী ২২ আগস্ট। এবার পরীক্ষার্থীদের নির্বাচনি পরীক্ষা (টেস্ট) হবে না। তার বিকল্প হিসেবে প্রস্তুতিমূলক পরীক্ষা হবে।
বিপি/কেজে