ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণসহ ১১ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ঝিনাইদহে মানববন্ধন,বিক্ষোভ মিছিল ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ঝিনাইদহ জেলা শাখা। কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বুধবার সকাল ১১ টায় শহরের মুজিব চত্বরে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সমিতির সহ সভাপতি আব্দুল মমিন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি এবং জেলা কমিটির সভাপতি মহি উদ্দীন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন,বাংলাদেশ কলেজ বিশবিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ঝিনাইদহ জেলা শাখার আহবায়ক অধ্যক্ষ সুব্রত কুমার মল্লিক,বাংলাদেশ শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের ঝিনাইদহ জেলা শাখার আহবায়ক এম এ কবীর অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আব্দুর রহীম,পরিতোষ কুমার বিশ^াস,মশিয়ার রহমান, হারুন-অর রশিদ,আশরাফুল ইসলাম মিঠু,মাসুদ করিম,রেজাউল করিম,খলিলুর রহমান, মনিন্দ্র নাথ বিশ^াস,আব্দুর রজ্জাক,কে এম সালেহ প্রমূখ।বক্তারা বলেন,আজ আমাদের পরিবার পরিজন নিয়ে সংসার চালানো দায় হয়ে দাড়িয়েছে। দ্রব্যমুল্যের উর্দ্ধগতির এই বাজারে খাদ্য, বস্ত্র,চিকিৎসার জন্য অন্যের দ্বারে হাত পাততে হচ্ছে যা লজ্জার।
তারা অবিলম্বে ১১ দফা দাবী বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। বক্তাগণ বলেন দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো। শিক্ষা ক্ষত্রে বিরাজমান সরকারি ও বেসরকারি বৈষম্য দূরিকরণের লক্ষ্যে শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণসহ ১১ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- মুজিব বর্ষেই শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ করা, আসন্ন ঈদের পূর্বেই সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের ন্যায় এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা, বাড়ী ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা প্রদান,পূর্ণাঙ্গ পেনশন প্রথা চালুকরণ এবং পেনশন প্রথা চালু না হওয়া পর্যন্ত অবসর গ্রহণের ৬ মাসের মধ্যে অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের পাওনা প্রদান ও শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে অতিরিক্ত ৪% কর্তন বন্ধ করা, স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা, সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ন্যায় বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও সহকারি প্রধান শিক্ষক এর বেতন স্কেল যথাক্রমে ৬ষ্ঠ ও ৭ম গ্রেডে প্রদান,এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বদলী প্রথা চালু করা, বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরির বয়স সীমা ৬৫ বছরে উন্নীত করা, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের ন্যায় শিক্ষক নিয়োগ কমিশন গঠন এবং শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে আনুপাতিক হারে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের পদায়ন, করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের আর্থিক প্রণোদনা এবং শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে শিক্ষা সহায়ক ডিভাইস প্রদান, ম্যানেজিং কমিটি/গভর্নিং বডির সদস্যদের নুন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে বিরাজমান সরকারি ও বেসরকারি সকল বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে শিক্ষানীতি-২০১০ এর দ্রত বাস্তবায়ন।সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শিক্ষকরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যান এ সময় জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম স্মারকলিপি গ্রহন করে বলেন,আপনাদের দাবীর সাথে আমরাও একমত পোষন করছি এবং আপনাদের দাবীর বিষয়টি আমরা যথাস্থানে পৌছে দেব। এ সময় শিক্ষকদের দাবীর সাথে একাত্বতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু। স্মারক লিপি গ্রহন করার সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রসাশক সার্বিক সেলিম রেজা পিএএ।
বিপি/আর এল