জবি প্রতিনিধি: বোন ম্যারো ক্যান্সারে আক্রান্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. রোজীনা পারভীন ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি এক মাস যাবৎ অ্যাপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়ায় ভুগছিলেন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ৯টায় রাজধানীর হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪৯ বছর।
রোজীনা পারভীনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আতিয়ার রহমান।
অধ্যাপক ড. মো. আতিয়ার রহমান বলেন, রোজীনার আগে সুগারে সমস্যা ছিলো, প্রেশার ছিলো, হার্টে সমস্যা ছিলো। কিন্তু উনার যে বোন ম্যারোতে সমস্যা সেটা তার পরিবারের ও কেউ জানতো না, আমরা ও কেউ জানতাম না, এমনকি সে নিজেও জানতো না। হটাৎ করেই উনি যখন দুর্বল হয়ে প্রায় সেন্সলেসের মতো হয়ে গেছে, তখন উনাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। এরপর আসলে এই সমস্যার কথা জানা যায়। তখন আর চিকিৎসা দেয়ার তেমন সুযোগ হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মো. মহিউদ্দিন জানান, আমাদের বড় বোন, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকর্মী অধ্যাপক ড. রোজীনা পারভীন আপা ইন্তেকাল করেছেন। উনার জানাজা আজ যোহরবাদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। উনার গ্রামের বাড়ি খুলনার পাইকগাছা উপজেলায়। উনি আমার শিক্ষক পাইকগাছা কলেজের সানাউল্লাহ স্যারের বড় মেয়ে।
প্রিয় শিক্ষিকার মৃত্যুর সংবাদে শোকের ছায়া নেমে এসছে বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলের মাঝে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক এবং ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার মরহুমার বিদেহী আত্নার শান্তি কামনা এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে। তাঁর এই অকাল মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ গভীরভাবে শোকাহত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে জানান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. রোজীনা পারভীনের ইন্তেকালের খবর শুনে খুবই মর্মাহত।
উল্লেখ্য, ড. রোজীনা পারভীন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি সম্পন্ন করেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মাস্টার্স ১৯৯৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি মা, দুই ভাই, এক বোন, সহকর্মী, শিক্ষার্থী, বন্ধুবান্ধব, আত্মীয় স্বজন ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
বিপি/কেজে