বিপ্লব আহমেদ, ফরিদপুর থেকে : ফরিদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জেলার অন্যান্য উপজেলার ন্যায় বোয়ালমারীতেও নির্বাচনী হাওয়া বইছে। তবে ভোটার সংখ্যা নির্দিষ্ট (উপজেলার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিবৃন্দ) হওয়ার কারণে অনেকটা নিরবেই চলছে নির্বাচনী প্রচারণা।
জেলা পরিষদ নির্বাচনে বোয়ালমারী উপজেলার মোট ভোটার সংখ্যা ১৪৬। এ নির্বাচনে কেবল জনপ্রতিনিধিরাই ভোটার হওয়ার কারণে তাদের সঙ্গে মুঠোফোনে কিংবা সরাসরি সাক্ষাৎ করে নিবিড় যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। ফলে সাধারণ মানুষের কাছে নির্বাচনকেন্দ্রিক তৎপরতা তেমন একটা দৃশ্যমান না হলেও ভেতরে ভেতরে চলছে নানা মেরুকরণ। এ পর্যন্ত এ উপজেলায় সম্ভাব্য চার প্রার্থীর নাম শোনা গেলেও হঠাৎ ময়দানে আলোচনায় উঠে এসেছে এক নতুন
প্রার্থীর নাম। তিনি হলেন আমানা গ্রুপের কর্ণধার, তরুণ সমাজ সেবক, কৃষকলীগ নেতা এবং কাদিরদী দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ দেলোয়ার হোসেন। হঠাৎ করে উপজেলার সর্বত্র তাকে ঘিরে বেশ গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। তিনি সাতৈর ইউনিয়নের বাসিন্দা হওয়ায় উত্তর বোয়ালমারীর চার ইউনিয়ন সাতৈর, ঘোষপুর, ময়না ও দাদপুরের ভোটারদের মাঝে দেলোয়ার হোসেনকে ঘিরে বেশ কৌতূহল ও আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে।
গত ঈদুল ফিতরের দিন প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত দুই আওয়ামী লীগ কর্মীর পরিবারকে দেলোয়ার হোসেন সম্প্রতি দুইটি ইজিবাইক কিনে দিয়েছেন। পরিবার দুটিকে তিনি নগদ ১ লক্ষ টাকাও প্রদান করেছেন।
ইউপি সদস্য আবুল হাসান মোল্লা বলেন, শুনতে পাচ্ছি দেলোয়ার ভাই জেলা পরিষদ নির্বাচন করবেন। তিনি প্রার্থী হলে ভালো হয়। তিনি সমাজ ও মানুষের জন্য অনেক কাজ করেছেন। নির্বাচিত হলে তার দ্বারা মানুষ আরো বেশী উপকৃত হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক মোঃ দেলোয়ার হোসেন বলেন, মানুষের সেবার জন্য পদ-পদবীর দরকার হয় না, প্রয়োজন হয় ভালো একটি মনের।
জেলা পরিষদের সদস্য একটি সম্মানিত পদ। অনেকেই আমাকে বলছেন প্রার্থী হওয়ার জন্য। তবে চূড়ান্ত কোন সিদ্ধান্ত এখনো নেইনি। তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য আলহাজ্ব কাজী সিরাজুল ইসলাম আমার রাজনৈতিক অভিভাবক। তার অনুমতির অপেক্ষায় আছি। তবে নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটারের সঙ্গে মোটামুটি যোগাযোগ রাখছি।
বিপি> আর এল