মিনুল হক রুবেল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে: ১৯৫২ সালে বাংলা ভাষাকে তৎকালীন রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতিলাভের জন্য যারা আন্দোলন করে বুকের তাজা রক্ত দিয়ে অকাতরে প্রাণ বিলিয়ে দিয়ে শহীদ হয়েছেন, সেই সকল ভাষা শহীদের সম্মান জানাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা কুড়িঘর উচ্চ বিদ্যালয়ে,আজ সোমবার দুপুরে নিজস্ব অর্থায়নে শহিদ মিনার নির্ণমান কাজের উদ্বোধন করেন কানাডা কুইব্যাক শাখা আওয়ামী লীগের সভাপতি কুড়িঘর গ্রামের কৃতি সন্তান বসির আহমেদ মুন্সি।
প্রতিবছর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এলেই কুড়িঘর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসীর মাঝে যেন এক অজানা অসহায়ত্ব ভর করতো,নিরুপায় হয়ে মহান এই দিবসে তারা অস্থায়ী শহীদ মিনারের বেদিতে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতেন। অবশেষে তাদের স্বপ্নপূরণ করতে এগিয়ে আসেন কুড়িঘর গ্রামের কৃতি সন্তান জনাব বাসির আহমেদ মুন্সি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুড়িঘর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবু কৃষ্ণ কান্ত দেবনাথ,সহকারী প্রধান শিক্ষক রায়হানুল আলম, কুড়িঘর মানব কল্যাণ ঐক্য পরিষদের সভাপতি ও নাটঘর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান,নাটঘর ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়র্ডের মেম্বার শাহ আলম, কুড়িঘর উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির , সদস্য সরাফত আলী,সদস্য মাহমুদুল হাসান কামাল, , আল আমিন,ডাঃ সুহেল হক সহ, এলাকার মান্যগণ্য ব্যক্তিবর্গ।
বসির আহমেদ মুন্সি বলেন,আমরা যখন লেখা পড়া করেছি তখন আমাদের গ্রামে উচ্চ বিদ্যালয় ছিলনা,আমরা পায়ে হেঁটে বিদ্যাকুট গিয়ে পড়াশোনা করেছি।তোমরা আজ ভাগ্যভান নিজের গ্রামে উচ্চ বিদ্যালয় পেয়েছে।লেখা পড়া ছাড়া কোনো বিকল্প নেই,পৃথিবীতে যারা বড়ড় হয়েছেন সকলে লেখা পড়া করে বড় হয়েছে।আমি আসা করি তোমরা ভাল করে লেখা পড়া করে অনেক বড় হবে এবং অত্র বিদ্যালয়ের শুনাম অর্জন করবে।অত্র বিদ্যালয় টি প্রতিষ্টিত করতে যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে গ্রামের সেই সকল যুবকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।বিদ্যালয়ের শহিদ মিনার ছিলনা আমি শহিদ মিনার করে দিচ্ছি সামনে ও বিদ্যালয়ের উন্নয়নের ক্ষেত্রে কাজ করে যাব।তিনি আরো বলেন,অত্র বিদ্যালয়ের যে সকল শিক্ষার্থী অসহায় হতদরিদ্র অর্থের জন্য লেখা পড়া করতে পারছেনা,প্রত্যেক টি ক্লাস থেকে ৫ জন করে মোট ২৫ জন শিক্ষার্থীদের লেখা পড়ার খরচের দায়িত্ব আমি নিব।
বিপি>আর এল