Home অন্যান্য স্ত্রী সন্তান রেখে পরকীয়া প্রেমিকাকে ঘরে তুলল পুলিশ সদস্য

স্ত্রী সন্তান রেখে পরকীয়া প্রেমিকাকে ঘরে তুলল পুলিশ সদস্য

by বাংলাপ্রেস ডেস্ক
A+A-
Reset

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ফুটফুটে ছেলে সন্তান ও স্ত্রীকে বাসা থেকে বিতাড়িত করে অন্যের স্ত্রীকে ভাগিয়ে ঘরে তুলল এক পুলিশ সদস্য। পাঁচ বছরের শিশু সন্তান নিয়ে প্রথম স্ত্রী সুবিচারের দাবীতে পুলিশের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন। জানা যায়, ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা পাইকপাড়া গ্রামের বাদশা বিশ^াসের ছেলে পুলিশ সদস্য পলাশ হোসেনের সাথে ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর প্রেমের সম্পর্কে বিয়ে হয় একই উপজেলার ধাওড়া গ্রামের আব্দুল আজিজের মেয়ে তানিয়া পারভীনের। বিয়ের পর তানিয়ার পরিবার থেকে পলাশকে স্বর্ণালংকার, আসবাবপত্রও নগদ টাকা দেয়। বিয়ের কয়েক বছর পর তাদের আয়াত নামের
একটি ছেলে সন্তান জন্ম নেয়। বিয়ের পর সুখেই কাটছিলো তাদের সংসার।

কিন্তু সেই সুখের সংসারে অভিশাপ হয়ে ওঠে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা রেজাউল ইসলামের মেয়ে সুমাইয়া সুলতানা অনু। বদলি জনিত কারণে পলাশ সাতক্ষীরা থানায় কর্মরত অবস্থায় অনুর সাথে পরকীয়া জড়িয়ে পড়ে। স্ত্রী তানিয়া ও ছেলে আয়াতকে তাড়িয়ে দিতে শুরু হয় নির্যাতন। শারিরীক ও মানসিক ভাবে নির্যাতনের পরও তানিয়া তাকে ছেড়ে না আসায় যৌতুক দাবি করে পলাশ।

এ নিয়ে উভয় পরিবারের মাঝে অশান্তি শুরু হয়। ২০২২ সালের ১৪ জুলাই পরকীয়া প্রেমিকা অনুর একই উপজেলা সুলতানপুর গ্রামের শুভ আহমেদ’র সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে পুলিশ কনস্টেবল পলাশ। অনুর বিয়ে হয়ে যাওয়ায় স্ত্রী ও তার ছেলে মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে সন্তান ও স্ত্রীকে বাসা থেকে তাড়িয়ে দেয় পলাশ। অন্যত্র বিয়ে হলেও পরকীয়া প্রেমিকা সুমাইয়া সুলতানা অনুর সঙ্গে সম্পর্ক অটুট থাকে পলাশের।

এ পর্যায়ে অন্যের স্ত্রীকে ভাগিয়ে গত ২২ আগস্ট বিয়ে করে পলাশ। এদিকে স্বামীর ও সন্তানের অধিকার ফিরে পেতে অসহায় তানিয়া খাতুন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ দিলেও আজও বিচার পাননি। ভুক্তভোগী তানিয়া পারভীন বলেন, আমি আমার অধিকার ফিরে পেতে চাই। আমার সন্তানের অধিকার ফিরে পেতে চাই। আমার স্বামী আমাকে রেখে অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করেছে। আর আমার ও আমার ছেলেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। শুশৃংখল বাহিনীর সদস্য হয়ে তিনি এমন কাজ করতে পারেন না। আর করলেও তার শাস্তি হতে হবে। কিন্তু এখনো পুলিশ বিভাগ কোন শাস্তি দেয়নি। এ ব্যাপারে পুলিশ সদস্য পলাশ হোসেন বলেন, আমার ফ্যামেলিগত সমস্যা থাকার জন্য আমি তাকে ডিভোর্স দিয়েছি। এ নিয়ে সাংবাদিকদের এতো মাথা ব্যাথা কেন ?

বিপি>আর এল

You may also like

Leave a Comment

কানেকটিকাট, যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত বৃহত্তম বাংলা অনলাইন সংবাদপত্র

ফোন: +১-৮৬০-৯৭০-৭৫৭৫   ইমেইল: [email protected]
স্বত্ব © ২০১৫-২০২৩ বাংলা প্রেস | সম্পাদক ও প্রকাশক: ছাবেদ সাথী