বাংলাপ্রেস ডেস্ক: তুরস্কে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধার অভিযান শেষ হচ্ছে আজ। তবে, সিরিয়ায় এখনও চলছে ভূমিকম্প দুর্গতদের আহাজারি। প্রতিবেশী তুরস্ক ৭০টি দেশ থেকে উদ্ধারকর্মী এবং অন্যান্য সহায়তা পেলেও সিরিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলের অনেকেই সামান্যতম খাবারও পায়নি। দুই দেশে এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৪৬ হাজার ৫শ’ জন।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে লণ্ডভণ্ড হয়ে যাওয়া তুরস্ক ও সিরিয়ায় প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ। ঘরছাড়া হয়েছেন লাখ লাখ বাসিন্দা।
ভূমিকম্প আঘাত হানার ১৩ দিনের মাথায় আজ সোমবার সমাপ্ত হচ্ছে ধ্বংস্তূপের নিচে আটকে পড়া ও নিখোঁজদের উদ্ধার অভিযান। তুর্কি দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বলছে, সন্ধান ও উদ্ধার কাজ দেশের বেশিরভাগ প্রদেশে ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।
ভূমিকম্পে তুরস্কের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ২ হাজার ৫শ’ কোটি ডলার। যা দেশটির জিডিপির ২ দশমিক ৫ শতাংশ। ভূমিকম্পে তুরস্কের ১০টি ও সিরিয়ার চারটি প্রদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।তুরস্ক সরকার এ পর্যন্ত ৩ লাখ ৮৭ হাজার বাড়ি পরিদর্শন করেছে। এর মধ্যে ৭০ হাজারের বেশি বাড়ি এখনই ভেঙে ফেলতে হবে। ভূমিকম্পে দেশটির প্রায় ৬ হাজার ভবন পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে।
তুরস্ক ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও প্রাথমিক ধাক্কা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া। অভিযোগ, সেভাবে ত্রাণ পাচ্ছে না তারা। এদিকে ইউনিসেফ জানিয়েছে, ক্ষতির মুখে পড়া মানুষদের মধ্যে ৭০ লাখই শিশু। ধ্বংসাবশেষের ভেতর হাজার হাজার শিশু মারা যাওয়ার আশঙ্কা করছে সংস্থাটি।
হিমাঙ্কের নিচে তাপমাত্রার মধ্যেই রাস্তায় রাত কাটাচ্ছেন দুই দেশের মানুষ। এর ফলে তাদের স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তীব্র শীত, তুষার ও বৃষ্টির মধ্যে জীবন চালানোর কারণে অনেকে হাইপোথারমিয়া ও শ্বাসযন্ত্রের নানা জটিলতায় ভুগছেন।
বিপি>আর এল