রাজশাহী অফিস, রাজশাহী: রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালরে (রুয়েট) অভ্যান্তরে মাদক সম্রাট পলাশ দীর্ঘদিন ধরে ফেনসিডিলের কারবার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। একাধিক মাদক মামলার আসামী মাদক সম্রাট পলাশ। সে নগরীর বোয়ালিয়া থানার বালিয়াপুকুর খাসপাড়া এলাকার হাবুতার ছেলে।
পলাশ গত প্রায় ৩০ বছর ধরে বালিয়া পুকুর এলাকায় মাদকের কারবারের সাথে জড়িত। মাদকের লোবার থেকে অনেক অর্থ সম্পদের মালিক হয়েছে সে। পুলিশ, ডিবি পুলিশ ও র্যাবের হাতে একধিকাবার আটকও হয়েছে সে। কিন্তু কখনই ছাড়েনি মাদকের কারবার। এই পলাশ এতটাই কৌশলী যে, সে সব সময়ই থাকে লোক চক্ষুর আড়ালে। একাধিক লেবার রয়েছে তার। মোবাইল ফোনে মাদকের অর্ডার নিয়ে কাস্টমারের দেয়া ঠিকানায় লেবার দিয়ে পৌঁছে দেয় মাদক।
তার সাথে রুয়েটের কয়েকজন মাদকাশক্ত কর্মচারী জড়িত রয়েছে বলে জানা গেছে। মূলত তাদের সহযোগীতায় রুয়েট অভ্যান্তরে অন্যের নামে গাভি পালন করছে। সেই সাথে শিয়ালের মত ঘাপটি মেরে থাকছে রুয়েটের কোয়াটারের পেছনের ক্ষেত খামারে। আর সেখান থেকেই চালাচ্ছে মাদকের কারবার। নাম প্রকাশ না করা শর্তে রুয়েটের একাধিক কর্মচারী জানায়, মাদক কারবারি পলাশ রুয়েটের ভেতর দীর্ঘদিন ধরে অবস্থান করে চালাচ্ছে মাদকের কারবার। যাহা রুয়েটের অধিকাংশ লোকজনই জানে। তারপরও শিয়ালের মত ঘাপটি মেরে বহাল তবিয়্যতেই রয়েছে সে। তার মাদক কারবার মূলত ফোনে অর্ডার নিয়ে ডেলিভারী দেয়া। আর রুয়েট-রাবির মাঝ স্থান দিয়ে তৈরী হওয়া ফ্লাইওভারের রাস্তা পলাশের মাদক ইস্পট।
রুয়েটের এক কর্মচারী জনৈক লাইজু জানায়, গত ১সপ্তাহ আগে পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে যায়। পরে তাকে ছেড়ে দিয়েছে। তবে কোন পুলিশ তাকে আটক করেছিলো তার নাম বলতে পারেননি তিনি।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে রুয়েটের সিকিউরিটি অফিসার মোঃ জালাল উদ্দিন জানান, খোঁজ নিয়ে তাকে রুয়েট থেকে বের করার ব্যবস্থা করছি। এদিকে, মতিহার থানার কাজলার মোড়ে ঘাপটি মেরে পান-সিগারেটের ব্যবসার আড়ালে ফেনসিডিলের কারবার চালাছে এক দোকানি ও তার ছেলে। দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছরের পুরোনো মাদক কারবারি সে। পুলিশ ও ডিবি পুলিশের হাতে ফেনসিডিল-সহ ধরা পড়েছে ২বার। কিন্তু সে-ও শিয়াল প্রকৃতির। খুব সাবধানে এই কারবার চালাচ্ছে।
এছাড়াও রয়েছে কাজলা এলাকায় রানা অরফে মুরগী রানা। সে সরাসরি কক্সবাজার থেকে ইয়াবার বড় বড় চালান নিয়ে আসে রাজশাহীতে। সে এতটাই চালাক যে, তাকে সাধারনত তেমন একটা দেখা যায় না। মোটরসাইকেলে চলাফেরা করে পাড়া মহল্লার গলির অন্ধকার পথ দিয়ে। যদি কোথাও চা খাওয়ার জন্যও দাঁড়ায় তখনও মাথা থেকে হেলমেট খোলে না। তার বাড়ি কাটাখালি থানার বাখরাবাজ গ্রামে। থাকে মতিহার থানার কাজলায় ভাড়া করা বাড়িতে। এরআগে ইয়াবার বড় চালান-সহ আটকের পর দীর্ঘদিন হাজত বাস করেছে এই রানা অরফে মুরগী রানা। জামিনে মুক্তি পেয়ে সেও শিয়ালের মত ঘাপটি মেরে চালাচ্ছে মরন নেশা ইয়াবার কারবার। এ ব্যপারে জানতে চাইলে, মতিহার থানার অফিসার ভারপ্রাপ্ত (ওসি), মোঃ আমিরুল ইসলাম জানান, লোকমুখে শুনেছি। তবে আপনার কাছে শুনে আরও নিশ্চিত হইলাম। শিঘ্রই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
বিপি/কেজে