বাংলাপ্রেস ডেস্ক : সরকার নিজেদের মতো প্রশাসন সাজিয়ে যেন তেন নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। আজ শুক্রবার বিকেলে পুরনো ঢাকার পদযাত্রাপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এই অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, সরকার চেষ্টা করছে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য। তারা বলে, নির্বাচন হবে, তারা বলে- বিচার মানি কিন্তু তালগাছটা আমার, তারা বলে, নির্বাচন হবে কিন্তু আমাদের জিততে হবে।
সে জন্য তারা প্রশাসনে বিভিন্ন রদবদল করছে, ঘুষ প্রদান করে পদোন্নতির মাধ্যমে প্রশাসনকে সাজিয়ে যেন তেনভাবে একটা নির্বাচন করবে। বাংলার মানুষ যেন তেন নির্বাচন আর মেনে নেবে না। তিনি বলেন, দেশের মানুষ আজকে তাদের ন্যায্য দাবি আদায়ে শান্তিপূর্ণ মিছিল-মিটিংয়ের মাধ্যমে জানিয়ে দিতে চায়, শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করতে চায়। কিন্তু আপনারা বাধা দিচ্ছেন…অশান্তি সৃষ্টি করছেন এটা কিন্তু ভালো লক্ষণ নয়।
এসব কর্মকাণ্ড সরকারের পতন তরান্বিত করবে উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন, এখানে সমাবেশ হচ্ছে জনগণের সমাবেশ, আর হাজারীবাগে হচ্ছে আওয়ামী লীগের সমাবেশে। এই দুটা সমাবেশের মধ্যে তফাত আছে। তফাতটা কী? আজকে এখানে বিভিন্ন মিডিয়ার ক্যামেরাম্যান ভাইয়েরা আমার সামনে আছেন, যারা ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার ক্যামেরাম্যান আছেন তারা দয়া করে একটু পরীক্ষা করবেন ওখানে একজন প্রধান অতিথি আছেন ওবায়দুল কাদের সাহেব….। আর এখানে আমার ছোট ভাইয়েরা অনুষ্ঠান করেছে আমি প্রধান অতিথি।
তিনি বলেন, আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি লালবাগের এত লোক আওয়ামী লীগের ওই মিটিংয়ে যায় নাই। লালবাগের মানুষ এই আওয়ামী লীগের বর্তমান যে নিশিরাতের সরকার এই সরকারকে পছন্দ করে না। এমনি সারা বাংলাদেশের লোক আওয়ামী লীগকে পছন্দ করে না।
মহানগর দক্ষিনের আহ্বায়ক আবদুল সালামের সভাপতিত্বে পদযাত্রাপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে কেন্দ্রীয় নেতা আবুল খায়ের ভুঁইয়া, আবদুস সালাম আজাদ, মীর সরাফত আলী সপু, মীর নেওয়াজ আলী, কৃষক দলের শহিদুল ইসলাম বাবুল, মহানগর দক্ষিণের নবী উল্লাহ নবী, ই্উনুস মৃধা, মোশাররফ হোসেন খোকন, মোহাম্মদ মোহন, তানভীর আহমেদ রবিন, উলামা দলের নজরুল ইসলাম তালুকদার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।