বাংলাপ্রেস ডেস্ক: বহুল প্রতীক্ষিত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ওপর দিয়ে যান চলাচল শুরু হয়েছে। রোববার (৩ আগস্ট) ভোর ৬টা থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট প্রান্ত পর্যন্ত অংশের উভয়দিকে যান চলাচল শুরু হয়েছে। ফলে, বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট যাওয়া-আসা করতে সময় লাগছে মাত্র ১০ মিনিট।
উচ্ছ্বসিত রাজধানীর উত্তরা ও টঙ্গী থেকে মহাখালী যাওয়া অফিস যাত্রীরা।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ধরে যাতায়াত করা যাত্রীরা ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেয়ে দেখাচ্ছেন জয়সূচক চিহ্ন।
বিমানবন্দর, বনানী ও বিজয় সরণি সিগনাল। নাম শুনলেই কয়েক ঘণ্টার যানজটের চিত্র চোখে ভেসে উঠে রাজধানীবাসীর। কিন্তু এই পথ এখন মাত্র ১০ মিনিটের। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, যাতায়াত ব্যবস্থায় এমন এক নতুন যুগের সূচনা হয়েছে। যা দেশের পরিবহন খাতের জন্য একটি যুগান্তকারী ঘটনা।
মূলত শনিবার প্রধানমন্ত্রী এর উদ্বোধন করলেও রোববার সকাল ৬টা থেকে যাতায়াতের জন্য খুলে দেওয়া হয় সড়কটি। ফলে দীর্ঘ দিনের ভোগান্তি থেকে মুক্তি পান নগরবাসী৷
তারা জানান, যোগাযোগের ক্ষেত্রে এই নমনীয়তা, স্বাচ্ছন্দ্য ও গতি অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ জীবনমানেও ফেলবে গভীর প্রভাব।
তবে ঢাকার মানুষের যানজটের দুর্ভোগ অনেকটা কমতে অপেক্ষা করতে হবে আরও বেশকিছু দিন। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পুরো পথ চালু হওয়ার পরেই মিলবে এই সুবিধা।
প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা জানান, দ্রুতগতির এই উড়ালসড়কের দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে কাওলা থেকে রেললাইন ধরে তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর হয়ে যাত্রাবাড়ীর কাছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালীতে গিয়ে শেষ হবে।
পুরো উড়ালসড়কে ৩১টি স্থান দিয়ে যানবাহন উঠানামা (র্যা ম্প) করার ব্যবস্থা থাকছে। র্যা ম্পসহ উড়ালসড়কের দৈর্ঘ্য হবে ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। উড়ালসড়কে ১১টি টোল প্লাজা থাকছে। পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপে (পিপিপি) এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটি নির্মাণ করা হচ্ছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত প্রকল্পের বাকি কাজ শেষ হলে উড়াল সড়কের পূর্ণ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন যাত্রীরা।
বিপি/কেজে