বাংলাপ্রেস ডেস্ক: নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। রোববার (১ অক্টোবর) বিকেলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগরের সব সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত যৌথ সভায় দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, ৩ অক্টোবর সাভারের আমিন বাজারে মহাসমাবেশ। ৭ই অক্টোবর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ উপলক্ষ্যে আনুষ্ঠানিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ১০ অক্টোবর পদ্মাসেতুর রেললাইন উদ্বোধন উপলক্ষে মাওয়া প্রান্তে সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৩ অক্টোবর মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মতিঝিলের শাপলা চত্বরে এদিন জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ২৮ অক্টোবর কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেলের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই উপলক্ষে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া ৪ অক্টোবর দেশে ফিরে আসবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতিসংঘ থেকে ফেরা উপলক্ষ্যে সংবর্ধনা নিতে রাজী নন শেখ হাসিনা। রাস্তা বন্ধ করে সংবর্ধনা নিবেন না প্রধানমন্ত্রী। ১৮ অক্টোবর শেখ রাসেলের জন্মদিবস উপলক্ষে দোয়া মাহফিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে যেসব সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছে তা মানবিকতার দৃষ্টান্তে পৃথিবীতে বিরল। যারা জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, ২১ আগস্ট শেখ হাসিনার হত্যার পরিকল্পনাকারী তাদের প্রতি আওয়ামী লীগের উচিত ছিল তেমন ব্যবহার দেওয়া।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে বিদেশে যেতে হলে দেশের প্রচলিত আইন মেনে আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যেতে হবে। খালেদা জিয়ার বিষয়ে সব সিদ্ধান্ত আইনসম্মতভাবেই হবে।
আওয়ামী লীগ অবৈধ দল হলে তাহলে কেন খালেদা জিয়ার মুক্তির কিংবা বিদেশে পাঠানোর জন্য অনুমতি চাওয়া হয়? প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপিকে কথার সীমারেখা মানা উচিত।
তিনি বলেন, আ স ম আব্দুর রবও একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গে আ স ম আব্দুর রব উদাহরণ হতে পারে না। হাজী সেলিমও কিন্তু আইনের বাইরে যাওয়ার সুযোগ পাননি। আওয়ামী লীগ শূন্যে ভেসে হাওয়ায় উড়ে কিংবা বন্দুকের নল উঁচিয়ে ক্ষমতায় বসেনি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আল্টিমেটামেও বিএনপি ব্যর্থ মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, গত ১৫ বছরে অনেকবার বিএনপির হাঁকডাক শোনা হয়েছে। বিএনপির বিভিন্ন সময় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের আসন নিয়ে তিরস্কার করে সমালোচনা করেছিল, যা ছিল বিএনপির অহংকার, দম্ভ। যারা আওয়ামী লীগের পতন দেখছে তাদের নিজেদের পতন হয় কি না সেটাই এখন দেখার বিষয়।
রাজনীতিবিদদের বেফাঁস কথা বলা থেকে দূরে থাকা উচিত, বক্তৃতা বিবৃতিতে বেফাঁস কথা না বলার পরামর্শও দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এ সময় তিনি আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের বিলবোর্ড কিংবা পোস্টার ফেস্টুন করে প্রচারণা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি।
এছাড়া যুবলীগের মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত করার নির্দেশ দিয়েছেন ওবায়দুল কাদের। যদিও তারিখ ঠিক করেননি। এর পাশাপাশি মহিলা আওয়ামী লীগ ও যুব মহিলা লীগ এবং পেশাজীবী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এই সমাবেশ গুলোর তারিখ ঠিক করা হয়নি। তবে ঘোষিত কর্মসূচি বাইরে অন্য তারিখ গুলোতে সমাবেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন ওবায়দুল কাদের। এসব সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দিতে পারেন বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।
বিপি/কেজে