বাংলাপ্রেস ডেস্ক: সুনামগঞ্জ-৩ (জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জ) আসনের জগন্নাথপুরে কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি নিতান্তই কম। কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। আজ রবিবার সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোট চলবে একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা জগন্নাথপুরের ইউএনও আল বশিরুল ইসলাম জানান, দুপুর ১২টা পর্যন্ত জগন্নাথপুরে ১১ শতাংশ ভোট কাস্টিং হয়েছে। এ উপজেলায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে। সকালের দিকে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের উপস্থিতিও বাড়ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পৌরশহরের ইকড়ছই সিনিয়র হাফিজিয়া আলিয়া মাদরাসা, ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আব্দুর রশিদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, স্বরূপ চন্দ্র সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, হবিবপুর আব্দুল তাহিদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ কয়েকটি কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম।
সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই সময়ের মধ্যে বেশির ভাগ কেন্দ্র প্রায় ভোটারশূন্য দেখা গেছে। তবে মাঝেমধ্যে আবার ভোটারের সংখ্যা কিছুটা দেখা গেছে।
এদিকে ভোটারশূন্য কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়াতে প্রার্থী ও তাদের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন ভোটার আনতে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের ব্যাপক তৎপরতা দেখা গেছে ভোটারদের কেন্দ্রমুখী করতে।
তাঁরা ছোট যানবাহন নিয়ে বাসা-বাড়িতে ছুটছেন ভোটারদের কেন্দ্রে ফেরাতে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রার্থীর সমর্থক বলেন, নির্বাচনে ভোটারদের আগ্রহ কম। ভোটকেন্দ্রে আসতে চাচ্ছেন না। আমরা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছি তাদের ভোটকেন্দ্রে আনতে। তবুও অনেকের আগ্রহ কম দেখা যাচ্ছে।
তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়ছে। সুনামগঞ্জ-৩ আসনে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, তৃণমূল বিএনপির সোনালী আঁশ প্রতীকের অ্যাডভোকেট শাহীনুর পাশা চৌধুরী, জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকের তৌফিক আলী মিনার ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির কাঁঠাল প্রতীকে তালুকদার মকবুল হোসেন।
এই আসনে মোট ভোটার তিন লাখ ৪৪ হাজার ৬৫৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৭৩ হাজার ৭২৮ জন, মহিলা ভোটার এক লাখ ৭০ হাজার ৯২১ জন ও হিজড়া ভোটার চারজন। মোট ভোটকেন্দ্র ১৪৫টি।
বিপি/টিআই