বাংলাপ্রেস ডেস্ক: ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় বর্বর আক্রমণ ও গণহত্যার অভিযোগে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে (আইসিজে) মামলা করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সেই মামলায় সাময়িক আদেশ হয়েছে।
রায়ে গাজায় যুদ্ধে গণহত্যার প্রত্যক্ষ উসকানি প্রতিরোধ ও শান্তির পদক্ষেপ নিতে ইসরায়েলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং দেশটি কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তার রিপোর্ট এক মাসের মধ্যে দিতে বলা হয়েছে।
আদালত বলেছেন, ‘গণহত্যা কনভেনশনের অনুচ্ছেদ-২ এর সমস্ত ধারা রক্ষায় ইসরায়েলকে তার ক্ষমতার ব্যবহার করতে হবে।’
আইসিজের ১৭ জনের বিচারক প্যানেলের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছে। শুধু গাজায় ইসরায়েলি সামরিক পদক্ষেপ দ্রুত বন্ধের আদেশ ছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকা যা চেয়েছিল, তার বেশির ভাগই পূরণ হয়েছে রায়ে।
আদালত ইসরায়েলকে গণহত্যা কনভেনশনের আওতায় পড়তে পারে এমন যেকোনো কাজ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে গাজায় দেশটির সৈন্যরা যাতে কোনো গণহত্যামূলক কাজ না করে, সেটিও নিশ্চিত করতে বলেছেন।
গণহত্যায় প্ররোচণা দেওয়া ব্যক্তি ও সৈন্যদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইসরায়েলকে গাজায় মানবিক সাহায্য পাঠানোর অনুমতি দিতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আদালত ইসরায়েলকে ফিলিস্তিনিদের সুরক্ষার জন্য আরও ব্যবস্থা নিতে বাধ্য করে কিন্তু স্ট্রিপে সামরিক অভিযান বন্ধ করার নির্দেশ দেয় না।
আদালত অবশ্য গাজায় ইসরায়েল গণহত্যা ঘটিয়েছে কি না এ বিষয়ে কোনো আদেশ দেননি। তবে বলেছেন, গাজায় বসবাসরত ফিলিস্তিনিদের গণহত্যা সনদের আওতায় গণহত্যা থেকে সুরক্ষা পাওয়ার অধিকার আছে।
গাজায় গণহত্যার অভিযোগে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গত ডিসেম্বরে আইসিজেতে মামলা করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ওই সময় ইসরায়েল মামলাটি প্রত্যাহারের দাবি জানায়। চলতি মাসের শুরুর দিকে আইসিজেতে দুই দিনের শুনানি হয়। এরপর আজ শুক্রবার আদালত সাময়িক এই আদেশ দিলেন।
আইসিজেতে শুনানির সময় দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষ থেকে গাজায় জরুরি ভিত্তিতে ইসরায়েলি অভিযান বন্ধ করার নির্দেশ দিতে আবেদন জানানো হয়েছিল। তবে আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেননি।
বিপি।এসএম