নিজস্ব প্রতিবেদক: যুক্তরাষ্ট্রে নাইট্রোজেন গ্যাস প্রয়োগে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন(ইইউ)। বৃহস্পতিবার বিশ্বের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এক আসামিকে নাইট্রোজেন গ্যাস প্রয়োগে কার্যকর করেছে মৃত্যুদণ্ড। তার নাম ছিল ‘কেনেথ স্মিথ’।
দেশটির এমন পদক্ষেপে ভীষণ ক্ষেপেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো। আর এই নিয়েই ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে ওয়াশিংটন। মৃত্যুদণ্ডের প্রক্রিয়াটিকে শুক্রবার ‘নির্যাতন’ বলে উল্লেখ করেন জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক।
সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে তুর্ক বলেন, ‘আমি গুরুতর উদ্বেগ থাকা সত্ত্বেও আলাবামায় কেনেথ ইউজিন স্মিথের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার জন্য গভীরভাবে অনুশোচনা করছি। নাইট্রোজেন গ্যাস দ্বারা শ্বাসরোধের অপ্রয়োজনীয় পদ্ধতিটি নির্যাতন, নিষ্ঠুর, অমানবিক বা অবমাননাকর আচরণ।’ এএফপি, সিএনএন।
যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপে মুখ খুলেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নও। ইইউর একজন মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন, ‘নেতৃস্থানীয় বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পদ্ধতিটি একটি বিশেষ নিষ্ঠুর এবং অস্বাভাবিক শাস্তি।’ মৃত্যুর আগে একটি দীর্ঘ বিবৃতিতে স্মিথ বলেছিলেন, ‘আজ রাতে আলাবামা মানবতাকে এক ধাপ পিছিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।’
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাতে মার্কিন রাজ্য আলাবামায় নাইট্রোজেন হাইপোক্সিয়ার মাধ্যমে কার্যকর করা হয় স্মিথের মৃত্যুদণ্ড। মাস্কের সাহায্যে নাইট্রোজেন গ্যাস তার শরীরে প্রবেশ করানো হয়। প্রচণ্ড খিঁচুনি দিয়ে ২২ মিনিটের মাথায় মৃত্যু হয় তার। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে প্রাণঘাতী ইনজেকশনের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হতো।
বিপি।এসএম