নিজস্ব প্রতিবেদক: চতুর্থবারের মতো আবারও শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শান্তির নোবেল পাওয়ার জন্য তাঁর নাম প্রস্তাব করেছেন মার্কিন আইনপ্রণেতা ক্লডিয়া টেনি। ইসরাইলের সাথে আরবের কয়েকটি দেশের সম্পর্কোন্নয়ন চুক্তি, আব্রাহাম অ্যাকর্ডে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদানের ভিত্তিতেই ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। এই নিয়ে চতুর্থবার তার নাম প্রস্তাব করা হয়েছে।
এক বিবৃতিতে নিউ ইয়র্কের প্রতিনিধি ক্লডিয়া টেনি বলেন, ট্রাম্প ৩০ বছরে প্রথম মধ্যপ্রাচ্যে নতুন শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছেন। বাইডেনের দুর্বল নেতৃত্বের জন্যই আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আমেরিকার সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তাই ট্রাম্পকে তার শক্তিশালী নেতৃত্ব ও বিশ্ব শান্তি অর্জনে প্রচেষ্টার জন্য স্বীকৃতি দেয়া জরুরি।দশকের পর দশক ধরে আমলা, পররাষ্ট্রনীতি পেশাদারেরা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো জোর দিয়ে বলে এসেছে, ইসরাইল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্বের সমাধান ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যে শান্তিচুক্তি সম্ভব নয়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তা মিথ্যা প্রমাণ করেছেন।
ট্রাম্পের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন জানিয়ে টেনি বলেন, ‘আব্রাহাম চুক্তি তৈরির ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাহসি প্রচেষ্টা নজিরবিহীন এবং যা নোবেল শান্তি পুরস্কার কমিটি বারবার এড়িয়ে গিয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আব্রাহাম চুক্তি হয়েছিল। এটা মূলত সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহারাইন ও ইসরাইলের এই শান্তি চুক্তি করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, এর আগে, ২০১৯, ২০২০ ও ২০২১ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন ট্রাম্প। প্রথমবার আব্রাহাম অ্যাকর্ডে ভূমিকা রাখায় নরওয়েজিয়ান পার্লামেন্টের সদস্য ক্রিশ্চিয়ান টাইব্রিং-গেড্ডে ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব করেন। দ্বিতীয়বার উত্তর কোরিয়ার সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন প্রচেষ্টার জন্য ট্রাম্পকে পুরস্কৃত করার প্রস্তাব দেয়া হয়। এরপর, ২০২১ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পকে মনোনীত করেন ফিনল্যান্ডের ডানপন্থী সংসদ সদস্য লরা হুহতাসারি।
বিপি।এসএম