বাংলাপ্রেস ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা বিদ্যমান রয়েছে। পাশাপাশি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ চীনের অর্থনীতি দুর্বল আছে। পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপদ আশ্রয় সম্পদের দিকে ঝুঁকেছেন বিনিয়োগকারীরা। এতে ২০২৩ সালে স্বর্ণের চাহিদা রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের (ডব্লিউজিসি) রিপোর্টে এসব তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়, গত বছর বিশ্বব্যাপী সর্বমোট স্বর্ণ লেনদেন হয়েছে ৪৮৯৯ মেট্রিক টন। সর্বকালে যা সর্বোচ্চ। ২০২২ সালে গোটা বিশ্বে স্বর্ণ বেচাকেনা হয় ৪৭৪১ টন। আলোচ্য বছরে গুরুত্বপূর্ণ ধাতুটির দাম বেড়েছে। সেই সঙ্গে শেয়ার মূল্যও বৃদ্ধি পেয়েছে।
ডব্লিউজিসিভিত্তিক কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর বৈশ্বিক প্রধান শাহোকাই ফান বলেন, ২০২৩ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ লেগে থেকেছে। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস এবং ইসরায়েল সংঘাত শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে চীনের অর্থনীতি মন্থর আছে। ফলে বিদায়ী বছরে স্বর্ণের চাহিদা রেকর্ড বেড়েছে। তাতে বুলিয়ন বাজার চাঙা হয়েছে।
গত ডিসেম্বরে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ওঠে ২১০০ ডলারে। সর্বকালে যা ছিল সর্বোচ্চ। বিদায়ী বছরে দেশে-বিদেশে মূল্যবান ধাতুটির দর ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। বিশ্বব্যাপী কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোতে চাহিদা বেড়েছে। সবমিলিয়ে টানা ২ বছর ১০০০ টনের বেশি করে স্বর্ণ কিনেছে তারা।
এক জুম সাক্ষাৎকারে বাণিজ্যভিত্তিক প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম সিএনবিসিকে শাহোকাই বলেন, ২০২৩ সালে ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্বর্ণ কিনেছে বিশ্বের বৃহৎ কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো। আগের বছর তা ছিল সর্বকালে সর্বাধিক।
বিপি/টিআই