বাংলাপ্রেস ঢাকা: পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী রাজনৈতিক দল পিএমএল-এনের প্রধান নওয়াজ শরিফ স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে হারলেন। তিনি খাইবার পাখতুনখাওয়ার এনএ- ১৫ মানসেহরা আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাদা গাস্তাসাপের কাছে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভোটে পরাজতি হয়েছেন। খবর সামা টিভির।
ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির নির্বাচনী এলাকা এনএ-১৫ মানসেহরা থেকে পাওয়া অনানুষ্ঠানিক ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, নওয়াজ শরিফ এই আসনে ৬৩ হাজার ৫৪টি ভোট পেয়েছেন। অন্যদিকে, শাহজাদা গাস্তাসাপ পেয়েছেন ৭৪ হাজার ৭১৩ ভোট। অর্থাৎ ১১ হাজার ৬৫৯ ভোটে পরাজিত হয়েছে নওয়াজ।
‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ এই ফলাফলকে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) জন্য বড় বিপর্যয় হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। অবশ্য নওয়াজ শরিফ লাহোরের এনএ-১৩০ আসনেও প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন। সেখানে তার প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ইয়াসমিন রশিদ।
এখন পর্যন্ত প্রকাশিত আনুষ্ঠানিক ফলাফলে ইমরানের দল পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬টি আসনে, নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন প্রার্থীরা ৫টি আসনে ও বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) প্রার্থীরা ৪টি আসনে জয় পেয়েছেন।
এদিকে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার ১২ ঘণ্টা পর শুক্রবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) ফলাফল ঘোষণা শুরু হয়। বিলম্বে ফল ঘোষণা শুরুর বিষয়ে জানতে চাইলে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের (ইসিপি) বিশেষ সচিব জাফর ইকবাল রয়টার্সকে বলেন, ‘ইন্টারনেট ইস্যুতে’ ফল ঘোষণায় বিলম্ব হয়েছে। তবে বিস্তারিত কোনো ব্যাখ্যা দেননি তিনি।
এর আগে ভোট গ্রহণের দিনে পাকিস্তানজুড়ে বন্ধ রাখা হয়েছিল মুঠোফোন সেবা। দেশটির অনেক অঞ্চলে ইন্টারনেট বন্ধ থাকা কিংবা গতি কম থাকার খবরও জানা গিয়েছিল। মূলত নিরাপত্তার স্বার্থে এই উদ্যোগ নেয় দেশটির সরকার। তবে আজ পাকিস্তানে মুঠোফোন সেবা চালু রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় সকাল ৮ টায় শুরু হওয়া ভোট চলে, বিকেল ৫টা পর্যন্ত। বিভিন্ন স্থানে ভোটকেন্দ্র দখলের পাশাপাশি গ্রেনেড হামলা হয়। এতে নিরাপত্তা বাহিনীর ১০ জনসহ নিহত হন ১২ জন।
বিপি>আর এল