নিজস্ব প্রতিবেদক: চাঁদ ওঠার ওপর নির্ভর করে চলতি মাসের ১০ বা ১১ মার্চ পবিত্র রমজান শুরু হবে। পবিত্র রমজান মাসের আগে ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতি না হলে পরিস্থিতি ‘খুবই ভয়াবহ’ হবে বলে উল্লেখ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। যুদ্ধবিরতির চুক্তিটি গ্রহণের বিষয়টি হামাসের ওপর নির্ভর করছে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। গত মঙ্গলবার বাইডেন এই সতর্কতার কথা বলেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট এমন সময় এ কথা বললেন যখন গাজায় সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে মিসরের রাজধানী কায়রোয় আলোচনা চলছে।
এদিকে গাজায় দ্বিতীয়বারের মতো উড়োজাহাজ থেকে ত্রাণসহায়তা ফেলেছে মার্কিন সামরিক বাহিনী। এ প্রসঙ্গে মিত্র ইসরাইলকে বাইডেন বলেছেন, গাজায় আরও সহায়তা পৌঁছাতে না দেওয়া নিয়ে কোনো অজুহাত চলবে না।
জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, ইসরাইলি বাহিনীর নির্বিচারে হামলার মধ্যে থাকা গাজায় দুর্ভিক্ষ আসন্ন। গাজায় ত্রাণের প্রয়োজনীয়তা এবং বেসামরিক মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাওয়া নিয়ে ইসরাইলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের হতাশা বাড়ছে।
অন্যদিকে জিম্মিদের মুক্তিসহ যুদ্ধবিরতির শর্তে হামাস রাজি না হওয়ার কারণেও যুক্তরাষ্ট্র হতাশ। এমন প্রেক্ষাপটে বাইডেনের কাছ থেকে এমন বক্তব্য এলো।
যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডের ক্যাম্প ডেভিড থেকে হোয়াইট হাউসে ফেরার সময় ৮১ বছর বয়সী বাইডেন যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, এটা এখন হামাসের হাতে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিষয়ে ইসরাইলিরা সহযোগিতা করছে। যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবটি যৌক্তিক। তারা কয়েক দিনের মধ্যে এ বিষয়ে জানতে পারবেন। তবে যুদ্ধবিরতি দরকার।
বাইডেন আরও বলেন, রমজানের কারণে যুদ্ধবিরতি করতে হবে। যদি এই পরিস্থিতি রমজানেও চলতে থাকে, ইসরাইল ও জেরুজালেমের অবস্থা খুব বিপজ্জনক হতে পারে।
বিপি।এসএম